
সকাল থেকেই কলকাতা পুরভোটে (KMC Election) বিক্ষিপ্ত অশান্তির (Sporadic Incidents) ছবি ধরা পড়েছে। কলকাতার (Kolkata) বিভিন্ন জায়গা থেকেই উত্তেজনার খবর সামনে এসেছে। এরইমধ্যে জোড়াবাগান এলাকায় কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) মীনাদেবী পুরোহিতকে (Meena Devi Purohit) হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর শাড়ি ও ব্লাউজ। পাশাপাশি, নির্দল প্রার্থীদের (Independent Candidate) মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পাল্টা তৃণমূল প্রার্থী শ্যামপ্রকাশ পুরোহিতের অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীই সেখানে অশান্তির সৃষ্টি করছেন।
মীনাদেবী পুরোহিতের অভিযোগ, এখানে তৃণমূল বহিরাগতদের নিয়ে এসে বুথ দখলের চেষ্টা করছে। বুথে ঢুকতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। হেনস্থা করা হয়। যদিও তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, বিজেপি প্রার্থী এখানে এসে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেন। এরপর পোস্তার একটি বুথে বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল ও নির্দল প্রার্থীর এজেন্টরা। এদিকে এই ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অবজার্ভারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।
অন্যদিকে, ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতা পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের জৈন বিদ্যালয়। আজ সকালে সেখানে পৌঁছান কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। তাঁর অভিযোগ, ওই স্কুলে দু’জন ভুয়ো ভোটারকে তিনি হাতেনাতে ধরেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে ব্রাবোর্ন রোডের উপর। এক যুবককে পুলিশ লাঠি দিয়ে মারে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যদিও তৃণমূল ও বিজেপি দু'তরফের অভিযোগ, ভোটারদের হেনস্থা করতেই সন্তোষ পাঠক এই ধরনের সাজানো গল্প তৈরি করেছেন।
যদিও তৃণমূল ও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে কংগ্রেস প্রার্থীর দাবি, ওই দুই যুবকের কাছ থেকে যে ভোটার কার্ড পাওয়া গিয়েছে সেই কার্ড সঠিক নয়। দু’জন দৌড়ে পালিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। সন্তোষ পাঠকের অভিযোগ, "দু'জন ভুয়ো ভোটারকে আমরা ধরেছি। যে দু’জন পালিয়ে গিয়েছে তারা হাওড়া থেকে এসেছিল। আর যাদের ধরতে পেরেছি তারা বাবার নাম বলতে পারছে না, এমনকী মায়ের নামও বলতে পারছে না। ওরা ভুয়ো ভোটার।"
যদিও স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার দাবি, “সন্তোষ পাঠক নাটক করছেন। অযথা ভোটারদের বিরক্ত করছেন যাতে মানুষ ভোট না দিতে পারেন। ভুয়ো ভোটার কার্ড মানে কী! নিজে বানিয়ে নিয়ে এসে লোককে দেখালে কে ধরবে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এখানে পুলিশ আছে। যা বলার ওদের বলুক। ভোটারদের বিরক্ত করার কোনও মানে নেই।”