'ধর্ষণকেই শিল্প হিসেবে দেখাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী', চোপড়াকাণ্ড নিয়ে মমতাকে সরাসরি আক্রমণ অগ্নিমিত্রার

  • চোপড়ায় বিজেপির বুথ সভাপতির বোনকে ধর্ষণ
  • খুনের অভিযোগকাণ্ডে সরাসরি মুখ্য়মন্ত্রীকে আক্রমণ
  • বিজেপি নেত্রীর অভিযোগ, রাজ্য়ে শিল্প আনতে পারেননি
  •  তাই ধর্ষণকেই শিল্প হিসাবে তুলে ধরছেন মমতা

Asianet News Bangla | Published : Jul 20, 2020 10:42 AM IST

চোপড়ায় বিজেপির  বুথ সভাপতির বোনকে  ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগকাণ্ডে সরাসরি মুখ্য়মন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন অগ্নিমিত্রা। বিজেপি  নেত্রীর অভিযোগ, রাজ্য়ে শিল্প আনতে পারেননি, তাই ধর্ষণকেই শিল্প হিসাবে তুলে ধরছেন মমতা।

অগ্নিমিত্রার দাবি,চোপড়ায় ধর্ষিতার বয়স যেহেতু ১৬ তাই পকসো অভিযুক্তকে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক। এ বিষয়ে শেষ দেখে ছাড়বেন তারা। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রধান বলেন,  দিদি এই বাবুসোনাদের প্রোটেক্ট করছেন? রাজ্যে শিল্প তো আনতেই পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। উনি কী তাহলে ধর্ষণটাকেই শিল্প হিসেবে দেখাতে চাইছেন? বেছে বেছে ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যদের পরিবারের মহিলাদের উপর আক্রমণ হানা বন্ধ করুন।   এবার কাঠগড়ায় তৃণমূল। ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল চেহারা নিয়েছে চোপড়া। চোপড়ার  ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে এবার সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমত্রা পল। 

নেত্রীর অভিযোগ, এইসব ঘটনার পিছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের রাজবংশী সম্প্রদায়ের উপর বারবার আঘাত হানছে তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়িয়েছেন এরা। তাই  তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনি রাজবংশী সম্প্রদায়েরই মেয়ে জবা বর্মনকেও ঠিক একইভাবে ধর্ষণ করে খুন করে। সাত-আট মাস আগে প্রমীলা রায় নামে আরেকটি রাজবংশী মেয়েকেও তৃণমূল নেতাদের হিংসার শিকার হতে হয়। এবার সেই তালিকায় আরও এক নাম।

জানা গিয়েছে, সদ্য মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল কিশোরী মেয়েটি। রবিবার ভোরে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার সোনাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বসলামপুর এলাকায় উদ্ধার হয় তার নিথর দেহ। মৃত কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একদল দুষ্কৃতীই ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তারপর খুন করে ফেলে রেখে গিয়েছে ওই স্থানে। রবিবার সকাল থেকেই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে কয়েকশো স্থানীয় বাসিন্দা, চোপড়ায় রাজ্য সড়ক ও ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে। হাতে ঢিল বাঁশ লাঠির মতো অস্ত্রশস্ত্র। বিক্ষোভকারীদের দাবি যতক্ষণ অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হবে ততক্ষণ ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ চলবে।

এদিকে,ঘটনায় ফিরোজ আলি নামে এলাকারই এক কিশোরকে মূল অভিযুক্ত বলে দাবি করেছিল মৃতের পরিবার। তার নামেই এফআইআর করা হয়। কাকতালীয়ভাবে  কিশোরীটির দেহ যে জায়গায় পাওয়া গিয়েছিল, তার অদূরেই একটি পুকুরে ভেসে ওঠে ফিরোজের দেহ! ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রথমে অবশ্য মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। শেষপর্যন্ত ওই কিশোরকে শনাক্ত করেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  
 

Share this article
click me!