অনুব্রত মণ্ডলের দেহ রক্ষীর গাড়ি দুর্ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় বাংলা। অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই তলব নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝে এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে বড়সড় চক্রান্ত রয়েছে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অনুপম হাজরা।
অনুব্রত মণ্ডলের দেহ রক্ষীর গাড়ি দুর্ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় বাংলা। অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই তলব নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝে এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে বড়সড় চক্রান্ত রয়েছে বলেই ইঙ্গিত রয়েছে বলে দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার অনুপম হাজরারা। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অনুপম হাজরা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার গভীর রাতে ইলামবাজারে দুর্ঘটনার কবলে অনুব্রত-র দেহ রক্ষীর গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত দুই। জান গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগেল হোসেন পরিবারের সঙ্গে দুর্গাপুর গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে ইলামবাজার হয়ে ফিরছিলেন বোলপুরে। একটি গাড়িতে ছিল সাইগলের তিন বছরের মেয়ে এবং এক পেট্রোল পাম্প মালিক মাধব দাস। অন্যগাড়িতে ছিলেন সাইগল তার বড় মেয়ে এবং স্ত্রী। ইলামবাজার এলাকায় ডাম্পারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় অনুব্রত-র দেহরক্ষীর একটি গাড়ির। বিকট শব্দ পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়ায় উত্তেজনা। সঙ্গে সঙ্গে খবর পৌঁছয় পুলিশে। পুলিশে এসে দুমডা়নো মুচড়ানো গাড়ি উদ্ধার করে।অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগেল হোসেন তিন বছরের মেয়ে এবং এক পেট্রোল পাম্প মালিক মাধব দাসকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন, 'বাঁচার সম্ভাবনা কম, ওঁকে মেরে ফেলা হতে পারে,' অনুব্রতকে নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
এদিকে গরুপাচার -সহ একের পর এক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে বীরভূমের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। বিপদ মোটে পিছু ছাড়ছে না। এসএসকেম-র উডবার্ণ ওয়ার্ডে ১৭ দিন কাটিয়ে ইতিমধ্য়েই চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে ফিরেছেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর তার পরপরেই দুর্ঘটনার কবলে অনুব্রত-র দেহ রক্ষীর গাড়ি। শুধুই দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনেও লুকিয়ে আছে কোনও রহস্য, তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আর এমনই সময়ে অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই তলব নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝে এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে বড়সড় চক্রান্ত রয়েছে বলেই ইঙ্গিত রয়েছে বলেই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।
তবে সম্প্রতি গরুপাচার সহ একাধিক মামলায় অনুব্রতকে সিবিআই তলবের পর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেছেন,' হয় অনুব্রতকে সারাজীবন হাসপাতালে থাকতে হবে নয়তো জেলে। অনুব্রত জেলে থাকলে ঠিক আছে। নিরাপদে থাকবেন। হাসপাতালে থাকলে বাঁচার সম্ভাবনা কম। অনুব্রত অনেক মামলায় অভিযুক্ত। একটা চাবি হারিয়ে ফেললেই হল। তাই তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য ওকে মেরে ফেলা হতে পারে।' আর তার পরপরেই দুর্ঘটনার কবলে অনুব্রত-র দেহ রক্ষীর গাড়ি। শুধুই দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনেও লুকিয়ে আছে কোনও রহস্য, তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।