পুরভোটের দোরগড়ায় বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বাসোটিয়াকে বহিষ্কার করল গেরুয়া শিবির। বহিষ্কারের পরে তথাগতর অভিযোগ উসকে বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া দিলেন চন্দ্রশেখর বাসোটিয়া।
পুরভোটের দোরগড়ায় বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বাসোটিয়াকে ( BJP Leader ChandraShekhar Basotia )বহিষ্কার করল গেরুয়া শিবির। উল্লেখ্য, ইতিমধ্য়েই ১৪৪ জনের নামে পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। অভিযোগ, প্রার্থী তালিকায় বিজেপি নেতা-কর্মীদেরই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এরপরেই উসকে গিয়েছে ক্ষোভের আগুন। আর এবার ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসতেই কড়া পদক্ষেপ নিল গেরুয়া শিবির। ( Kolkata Municipal Election 2021) পুরভোটের প্রার্থী তালিকায় টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতেই চন্দ্রশেখর বাসোটিয়াকে বহিষ্কার করল বিজেপি (BJP)।
পুরভোটের প্রার্থী আসনের টিকিট না পেতেই কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা চন্দ্রশেখর বাসোটিয়া এবং ১৩১ নং ওয়ার্ডের নেতা কাজল ভৌমিক। মঙ্গলবার রাতেই চন্দ্রশেখর বাসোটিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। দল টাকার বিনিময়ে টিকিট দিয়েছে, এমন অভিযোগ আগেই এসেছে। মঙ্গলবার রাতে এই অভিযোগ নিয়েই পথে নামেন কয়েক জন বিজেপি নেতা। বিজেপি দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি শঙ্কর শিকদার এবং প্রীতম শিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। নরেন্দ্রমোদী জিন্দাবাদ, অমিত শাহ জিন্দাবাদ স্লোগান তুলে পছে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কর্মীরা। বেশ কিছুদিন আগেই এই নিয়ে টুইটারে সরব হয়েছিলেন বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়। যদিও তখন তাঁর সেই অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। সম্প্রতি সরব হলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি মানস রঞ্জন সামাই।
এনিয়ে সরাসরি শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি লিখে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মানস। তাঁর অভিযোগ, একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটের জন্য ৫ দফায় তাঁর কাছ থেকে মোট ২৩ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল। এদিকে সেই টাকা দেওয়ার পরও টিকিট পাননি তিনি। পাশাপাশি সেই টাকা তাঁকে ফেরতও দেওয়া হয়নি। রাজ্য বিজেপি-র সংখ্যালঘু মোর্চার মহিলা সহ সভাপতির বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন তিনি। মানস রঞ্জনের দাবি, মাস তিনেক আগে বিজেপি-র অন্দরে আর্থিক লেনদেনের সেই অভিযোগ তিনি দলীয় প্যাডে লিখে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তা পাঠিয়েছিলেন বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ অন্যান্য নেতৃত্বকে। আর সেই অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন যে তাঁকে যদি টাকা দেওয়া না হয় তাহলে আত্মহত্যা করতে তিনি বাধ্য হবেন। আর তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন সংখ্যালঘু মোর্চার মহিলা সহ সভাপতি। যদিও এই চিঠির সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। সোমবারই এই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই উত্তাল গেরুয়া শিবির।
এদিকে বহিষ্কার হবার পর চন্দ্রশেখর বাসোটিয়া জানিয়েছেন, আমার দুর্ভাগ্য যে আমি বড় বড় নেতাদের বাড়িতে দালালি করতে পারছি না। দুর্ভাগ্য আমি গভীর রাতে তাঁদের কোনও সুবিধা দিতে পারছি না। আমাদের দলের কিছু দালাল ওদের মাথায় তুলে রাখছে।' নাম না করলেও তথাগত রায়ের অভিযোগকেই উসকে দিল চন্দ্রশেখরের এই প্রতিক্রিয়া বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের।