বামেদের ডাকা ভারত বনধকে সমর্থন করেনি রাজ্য়ের মানুষ। কিছু জায়গায় গোলমাল পাকিয়েছে সিপিএম। আগামী দিনে এই বনধ সংস্কৃতির জন্য় ওরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কেষ্টপুরে এসে এমনই মন্তব্য় করলেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন দিলীপবাবু বলেন, এদের এখন লুপ্তপ্রায় প্রাণীর অবস্থা হয়েছে। সংসদে রাজ্য় থেকে একজনও সাংসদ নেই বামেদের। আগামী দিনে সিপিএম নামের লুপ্তপ্রায় প্রাণীকে দেখতে চিড়িয়াখানায় যেতে হবে। টিকিট দিয়ে এদের দেখতে চিড়িয়াখানায় যাবে মানুষ। রাজ্য়ে বামেদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
এই বলেই থেমে থাকেননি বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ। তাঁর পাল্টা মন্তব্য়, ওরা সিএএ নিয়ে বিরোধিতা করছে। তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস সবাই এক হয়ে নাগরিকত্বের বিরোধিতা করছে। গত ৩৪ বছরে উদ্বাস্তুদের থেকে শুধু ভোট নিয়েছে সিপিএম। কিন্তু নাগরিকত্ব দেয়নি। মোদী সরকার এসে এই উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । সেখানেও বাগড়া দিচ্ছেন মমতা। মানুষ এর প্রতিবাদ করছে। সেই কারণে বিজেপির মিছিলে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে।
রাজ্য়ে বনধের চিত্র বলছে,ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়েছে মালদহে। পুলিশ ও বনধ সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে সুজাপুর। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ধর্মঘটীদের লক্ষ করে ইঁট বৃষ্টি শুরু হয়। পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে পাল্টা লাঠিচার্জ করতে শুরু করে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, তাদের লক্ষ করে বোমাও ছোঁড়া হয়। এদিকে কলকাতায় দমদমের মেট্রো রেলের টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দেয় বনধ সমর্থকরা। কালীঘাট স্টেশনর শাটার নামিয়ে দেওয়া হয়। আটক করা হয়েছে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে।