ফের নতুন করে আইনি জটে ফাঁসলেন অনুব্রত মণ্ডল। এবার লালবাতি কেসে ফাঁসলেন কেষ্ট। শুক্রবার বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি লাগানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
ফের নতুন করে আইনি জটে ফাঁসলেন অনুব্রত মণ্ডল। এবার লালবাতি কেসে ফাঁসলেন কেষ্ট। একেই মাথার উপর ঝুলছে গরুপাচার মামলা এবং ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা। যা নিয়ে সিবিআই তলবে জর্জরিত কেষ্ট। তার উপর আবার বগটুই-র হাতছানি। এত সব চাপের মাঝেই নতুন করে চাপের মুখে অনুব্রত। কেন জেলা সভাপতি হয়ে লালবাতি লাগানো গাড়ি চড়েন অনুব্রত, এই প্রশ্ন তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হল জনস্বার্থ মামলা। শুক্রবার বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি লাগানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
জানা গিয়েছে, বরাবরই লালবাতি লাগানো গাড়িতে ঘোরেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। চলতি মাসের শুরুতেই যেদিন সিবিআই-র তলবে সাড়া দিয়ে কলকাতামুখী হয়েছিলেন, তখন সেই লালবাতি লাগানো গাড়িতেই এসেছিলেন কেষ্ট। তার ওই গাড়ি করেই এসএসকেম-এ ভর্তি হয়ে যান। সেইসময়ই শুরু হয়েছিল, নানা আলোচনা। আদৌ অনুব্রত মণ্ডল কি লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। আর এবার সেই লালবাতি গাড়ির জন্য আইনি জটে অনুব্রত।
শুক্রবার বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি লাগানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। একজন জেলা সভাপতি হয়ে কীভাবে লালবাতি লাগানো গাড়ি চড়ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে খবর। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, কেউ ব্যাক্তিগত গাড়িতে লালবাতি লাগাতে পারেন না। মন্ত্রী, বিধায়ক, সংসদরাও নন। অ্যাম্বুলেন্স এবং দমকলের গাড়িতে নীল বাতি লাগানোর অনুমতি রয়েছে। সেক্ষেত্রে দীর্ঘদিন যাবৎ অনুব্রত লালবাতি লাগানো গাড়ি চড়লেন, প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন, ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এসি-র তার চুরি করে পালাল চোরের দল, সল্টলেকে গলদঘর্ম অবস্থা ঘরে-ঘরে
মূলত গরুপাচার মামলা ও ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ঝুলে রয়েছে অনুব্রত-র ভাগ্য। এদিকে তার মধ্যে এসএসকেম-এ দীর্ঘ সতেরো দিন কাটানোর পর এখনও অসুস্থ কেষ্ট। এই অবস্থায় তিনি সিবিআই একটি তলবেও উপস্থিত হতে পারেননি। তা নিয়ে রীতিমত মাথাব্যাথার কারণ তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রাজ্যের এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার সম্পর্কে কোন পথে চালিত হবে, কার্যত তা স্থির করতেই দিল্লির লোধি রোডের সদর দফতরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে।
আরও পড়ুন, সুখবর, স্বাস্থ্য পরিষেবায় সাড়ে ১১ হাজার চুক্তি নিয়োগ, নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দফতরের
সিবিআই তথ্য অনুসারে, সিবিআই-র শীর্ষ আধিকারিক ছাড়াও ভার্চুয়াল বৈঠকে এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ডিআইজি, এসপি পদ মর্যাদার অফিসারেরা। পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ছিলেন সিজিএইচএস ও এইমস-র চিকিৎসকেরা। সূত্রের খবর, একই সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের হাইপ্রোফাইল সাক্ষীর ক্ষেত্রে কীকী আইনি পদ্ধতি নেওয়া যেতে পারে,তা বোঝার জন্য সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা এই বৈঠকে ছিলেন।উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলের বিদেশ যাত্রা আটকাতে তাঁর পাসপোর্ট, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ইত্যাদি নথি চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।