কলকাতার সাংগঠনিক দায়িত্ব শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দিতে চায় বিজেপি। দলের এই বার্তা নিয়ে সোমবার রাতে প্রাক্তন মেয়রের বাড়িতে যান রাজ্যের সহকারী পর্যবেক্ষক তথা কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেনন। রাত ১২ টা পর্যন্ত চলে শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বৈঠক। শোনা যাচ্ছে, শোভন চট্টোপাধ্য়ায়কে কোনওভাবেই হাতছাড়া করতে চাইছে না বিজেপি।
অন্যদিকে, শোভন চট্টোপাধ্য়ায়কে বিজেপি থেকে ছিনিয়ে নিতে কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। গতকাল কলকাতার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে রত্না চট্টোপাধ্য়ায়কে সরিয়ে দেয় রাজ্যের শাসক দল। শোভনের মান ভ়্জন করতেই তৃণমূলের এমন সিদ্ধান্ত বলে মত রাজনৈতিক মহলের। যদিও এ ব্যাপারে রত্না বলেন, আমাকে সরানোর কোনও কথা আমি জানি না। দল থেকে কোনও চিঠি পাইনি।
যদিও পরেই শোভন চট্টোপাধ্য়ায় নিয়ে সতর্ক হন রত্না। তিনি বলেন, আমার জায়গায় প্রাক্তন মেয়র এলে আমি এমনিতেই সরে যাব। রত্নার এমন মন্তব্য কানে যায় অরবিন্দ মেননের। তারপরেই তিনি ছুটে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সূত্রের খবর, সেখানে উপস্থিত ছিলেন বৈশাখি বন্দ্য়োপাধ্যায়ও। কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে ফের দলে সক্রিয় হওয়ার কথা জানান বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা। তাকে কলকাতার সাংগঠনিক দায়িত্ব তার উপর ছাড়তে চায় বলেও প্রাক্তন মেয়রকে বোঝান রাজ্যের সহকারী পর্যবেক্ষক।
খুব বেশিদিনের কথা নয়। মমতার কথা শুনে 'ঘর ওয়াপসি' হচ্ছে একের পর এক নেতার। সেখানে দিদির সাধের কানন নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কালীঘাটে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, বেহালায় শোভনের জায়গায় রত্নাকে নেতৃ্ত্ব থেকে সরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে ঘাসফুল ব্রিগেড। যা একপ্রকার শোভনকে স্বাগত জানানোর ইঙ্গিত। দলের কথা শুনে আপাতত সক্রিয় থেকে নিষ্ক্রিয় হয়েছেন রত্না।
রাজ্য় রাজনীতির সাম্প্রতিক অতীত বলছে,দিল্লিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই রাজ্য বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কে ভালো নয় শোভনের। রাজ্য় বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গেই মতান্তর ঘটে তার। মূলত, রাজ্য় বিজেপির অফিসে তাঁর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকেই ফাটলের সূত্রপাত। সেখানে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে স্বাগত জানানো হলেও বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায়কে সরকারি ভাবে স্বাগত জানায়নি বিজেপি। যাতে যার পর নাই ক্ষুব্ধ হন শোভন। এই আগুনে আরও হাওয়া দেয় দিলীপ ঘোষের ডাল-ভাত মন্তব্য়। যেখানে শোভন এলে বৈশাখী আসবেনই বোঝাতে গিয়ে দুজনকে ডাল-ভাতের জুটি বলে ফেলেন রাজ্য় বিজেপির কান্ডারি।