'উনি কবে কাকে সম্মান দিয়েছেন', আমন্ত্রণ বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা দিলীপের

 

  • অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো উদ্বোধনকে ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে
  • মুখ্যমন্ত্রীকেই নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ
  • কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পাল্টা অসৌজন্যের অভিযোগ সুজনের 

Tanumoy Ghoshal | Published : Feb 13, 2020 10:52 AM IST / Updated: Feb 13 2020, 05:23 PM IST

'ওনাকে কেন ডাকা হবে? উনি কবে কাকে সম্মান দিয়েছেন? বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের কখনও ডাকেন? কোনও কমিটিতে রেখেছেন?' বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আবার পাল্টা অসৌজন্যের অভিযোগ তুললেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। কলকাতায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধন নিয়ে রাজনৈতিক তরঙ্গা তুঙ্গে।

অপেক্ষার আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার। বহু বাধাবিপত্তি কাটিয়ে অবশেষে কলকাতায় উদ্বোধন হতে চলেছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর।  বৃহস্পতিবার সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে মেট্রো চলাচলের সূচনা করবেন রেলমন্ত্রী পীষূষ গোয়েল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে স্থানীয় বিধায়ক ও  রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত  বসু, বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তাঁকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রাত্যই করে রেখেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। আমন্ত্রণপত্রে নাম নেই পুর ও নগরোয়ন্ননমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমেরও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের কেন্দ্র ও রাজ্যের সংঘাত প্রকাশ্যে চলে এসেছে।  রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে উদ্বোধনের সূচি ঘোষণার অভিযোগে  আমন্ত্রিতরা সকলেই অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও সরকারিভাবে বয়কটের কথা ঘোষণা করা হয়নি।

আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শুভ উদ্বোধন, থাকছে একাধিক সুবিধা

যতই রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকুক না কেন, এই ঘটনায় কিন্তু রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর প্রতিক্রিয়া, 'ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রাজ্যে একটি বড় প্রকল্প। উদ্বোধন হচ্ছে, খুব ভালো কথা। রেলমন্ত্রী নিজে উদ্বোধন করতে আসছেন, তাও ঠিক আছে। কিন্তু রাজ্য সরকারকে জানানো হবে না! এটা অত্যন্ত অসৌজন্যের বিষয়।' যাদবপুর বিধায়কের আরও বক্তব্য, রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকতেই পারে। কিন্তু প্রশাসনিক কাজে তার প্রভাব পড়া উচিত নয়। 

উল্লেখ্য, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কলকাতায় এই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তত. পরবর্তীকালে যখন এই প্রকল্পের জমি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়, তখন সমস্যা সমাধান করছিল এ রাজ্যের পুর ও নগরোয়ন্নন দপ্তর। দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

Share this article
click me!