বিএসএফের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক রাজ্যের, সীমান্তে পরিধি বাড়ানো নিয়ে আলোচনা

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলিতে সীমানা পরিধি বাড়ানো, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার লাগানো ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে জমি সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

Web Desk - ANB | Published : Apr 18, 2022 2:01 PM IST / Updated: Apr 18 2022, 07:53 PM IST

সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সোমবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল নবান্নে। আর সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। আর রাজ্যের তরফে সেখানে ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলিতে সীমানা পরিধি বাড়ানো, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার লাগানো ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে জমি সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে আজকের বৈঠকে। 

প্রসঙ্গত, গতবছর ১৪ নভেম্বর বিএসএফ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল রাজ্য। সেই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। সেই বৈঠকে মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সীমান্তের কাঁটাতার, ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট ও বর্ডার আউটপোস্ট। জানা গিয়েছে, তখনকার সেই বৈঠক খুব একটা ভালো হয়নি। কারণ সেখানে কেন্দ্রের তরফে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল তার মধ্যে বেশিরভাগটাই ছিল ভুলে ভরা। এমনকী, বেশ কিছু জায়গার নামও ভুল লেখা ছিল। বাস্তবের সঙ্গে সেই তথ্যের মিল ছিল খুবই কম। তার জেরে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের আধিকারিকদের মত পার্থক্যও দেখা গিয়েছিল। তারপর আজ ফের এই সীমান্ত নিয়ে বৈঠক করল নবান্ন। 

আরও পড়ুন- বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা বৃথা, বাদুড়িয়া কিশোরী ধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের জালে তৃতীয় অভিযুক্ত

বিএসএফ-এর এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে অনেকদিন ধরেই নানারকম আলাপ-আলোচনা চলছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এলাকা বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেকেই। অনেক সময়েই বলা হয়েছে, রাজ্যের হাতে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি থাকার পরেও কেন্দ্রীয় সরকার আসলে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে রাজ্যের সেই অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। কেন্দ্রের তরফে সীমানা বাড়ানোর পর তা নিয়ে সরব হয়েছিল রাজ্য। গত বছর অক্টোবরে নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গ-সহ তিন রাজ্যে বিএসএফ-এর হাতে গ্রেফতারি, তল্লাশি ও বাজেয়াপ্তের বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর তারই মধ্যে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ফলে এই পরিস্থিতি বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। 

আরও পড়ুন, শান্তিনিকেতন গণধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের জালে ২ নাবালক-সহ চার, স্কেচ ও মোবাইল লোকেশনেই অভিযান সফল

মূলত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে রাজ্যের পূর্ব দিকে। সেই সীমান্ত বরাবর যাতে শান্তি বজায় রাখা যায়, কী পরিকল্পনার মাধ্যমে সেই বিষয়টি পরিচালনা করা যায়, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। এই সব বিষয় নিয়েই সোমবার আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।  

আরও পড়ুন- বাড়ির অমতে বিয়ে, বনগাঁয় মেয়ের মাথায় ধারাল অস্ত্রের কোপ বাবার, রেহাই পেলেন না জামাইও

Share this article
click me!