মঙ্গলবার বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ভোট যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রাজ্যের শাসক দল এবং বিরোধীরা।
মঙ্গলবার বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ভোট যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রাজ্যের শাসক দল এবং বিরোধীরা। বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে এবার এমন দুই প্রার্থী তৃণমূলের তরফে ভোটে দাঁড়িয়েছেন, যারা একটা সময় পদ্মশিবিরে ছিলেন। দুজনেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রির দায়িত্ব সামলেছেন।বিজেপি ছেড়ে আসা এই দুই প্রার্থীকে নিয়ে বাজিমাত করতে চায় ঘাসফুল শিবির। তাই এবারের উপনির্বাচনে ফোকাসে রয়েছেন তৃণমূলের ২ প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় এবং শত্রুঘ্ন সিনহা। এদিকে ভোট শুরু হওয়ার আগে শেষ লগ্নে এদিন সকাল থেকেই দফায় দফায় বৈঠক করে চলেছেন বাবুল- শত্রুঘ্নরা।
আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে কোনওদিনই জয় করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। বামেদের থেকে বিজেপি নিয়েছে এই আসন। দোলা সেন, মুনমুন সেনের মতো দুই প্রার্থীই দুবার বিজেপিতে থাকাকালীন বাবুল সুপ্রিয়োর কাছে হেরে গিয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব যাবার পর অনেক জলঘোলা শেষে বিজেপি সংসদ পদ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল। ঘটনাচক্রে দুবারের সেই আসানসোল জয়ী বাবুল এবার বিজেপির বিরুদ্ধেই লড়বেন বালিগঞ্জ উপানির্বাচন থেকে। এবং তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে তৃণমূলের হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা।
ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছেন, বাবুল সুপ্রিয় তার মেরুদণ্ড সোজা রেখেছেন। সেই বাবুল বালিগঞ্জে লড়াই করছেন। ভোটের আগের দিন অবশ্য হালকা মেজাজেই রয়েছেন তিনি। যোগাযোগ রেখে চলেছেন এই বোটের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা দেবাশিস কুমারের সঙ্গে। দিনভর কথা বলছেন ইলেকশন এজেন্ট থেকে বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা কাউন্সিলরদের সঙ্গে। উল্লেখ্য বাবুলের আগের পরিচয় অর্থাৎ বিজেপির সময়ের ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে প্রচার চালালেও বাবুলের সবচেয়ে বড় ভরসা তৃণমূলের সংগঠন।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৭৩ হাজার ভোটে জিতেছিলেন প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এছাড়া পুরভোটেও সব ওয়ার্ডে বিরাট বড় ব্যাবধানে একের পর এক জয় এনেছে তৃণমূল। অপরদিকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে আসন ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে দুবাই জিতে নিয়েছে বিজেপি। বাবুলের দক্ষতা তাতে অন্যমাত্রা যোগ করেছিল। সুতরাং তৃণমূল যোগদানের পর প্রায় সবার মুখে সেই কলকাতা পুরভোটের থেকেই একটাই প্রশ্ন ছিল, কোন কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবে বাবুল। কিন্তু ভোটের পর ভোট গেলেও বাবুলের প্রার্থী পদের কোনও খবর না পাওয়ায় তোপও দেগেছিল পদ্ম শিবির। তবে যে দুইবারের জয়ী বাবুলকে যে এবার বালিগঞ্জ বিধানসবা উপনির্বাচন থেকে লড়াই নামাবে তৃণমূল, তা বোধয় কেউ ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেনি।