আদালত অবমাননার মামলয়া এবার রাজ্য পুলিশের ডিডি, ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার আর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে রুল জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালত অবমাননার মামলয়া এবার রাজ্য পুলিশের ডিডি, ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার আর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে রুল জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ গত ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে হাজির হয়ে রাজ্য পুলিশের পদস্থকর্তাদের শো-কজের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে। বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দ অধিকারী গত ৮ জানুয়ারি নেতাই যাচ্ছিলেন। কিন্তু ২০ কিলোমিটার আগেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নেতাই গণহত্যায় মৃতদের শ্রদ্ধা জানাতে গত ৮ জানুয়ারি ঝাড়গ্রামে গিয়েছিলেন। কিন্তু নেতাই ছিলে ২০ কিলোমিটার দূরেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। সেখান থেকেই খালি হাতে ফিরতে বাধ্য হন শুভেন্দ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দায়ের হয়েছিল। কারণ মামলাকারীর দাবি গত বছরই শুভেন্দুকে অধিকারীকে রাজ্যে যেকোনও প্রান্তে যেতে দেওয়া হবে এমন আশ্বাসবানী শুনিয়েছিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। শুভেন্দুকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ও নিশ্চিত করা হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর নেতাইয়ে তার ঠিক উল্টোটাও হয়েছিব। সেই মামলাতেই রাজ্য পুলিশের প্রধান ও ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুলও জারি করা হয়েছে।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকেই তাঁর গতিবিধি আটকাতে তৎপর হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। একাধিকবার তেমনই অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন একাধিক জায়গায় তাঁকে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যা নিয়ে রাজ্য সরকারকে একাধিকবার নিশানা করেছেন তিনি। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি তেমন পাল্টায়নি বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু। প্রসঙ্গত উল্লেখ শুভেন্দু এই বিষয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছেও নালিশ করেছিলেন। কিন্তু এখনও এর কোনও সুরাহা হয়নি।
২০১১ সালের শুরুতে অর্থাৎ জানুয়ারী মাসে ঝাড়গ্রামের নেতাই গ্রামে গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিল ৯ জন। লালগড়ের সিপিএম নেতা রথিন দণ্ডপাতের বাড়ি থেকে গুলি চলেছিল তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে নিরাপত্তার অভিযোগ উঠেছিল। কাঠগড়া. দাঁড় করানো হয়েছিল স্থানীয় সিপিএম নেতাদের। তারপর কেটে গেছে ১২ বছর বছর। ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। কিন্তু ওখনও পর্যন্ত তদন্ত শেষ হয়নি।