রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ করে এসেছেন, শিক্ষক নিয়োগের পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হল কথায় কথায় মামলাকারীদের মামলা ঠুকে দেওয়া। শিক্ষামন্ত্রীর কথাতেই বৃহস্পতিবার যেন সিলমোহর পড়ল। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের মামলায় মামলাকারীদের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টে বৃহস্পতিবার জয় পেল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য মামলাকারীদের আবেদন খারিজ করার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের জন্য রেকমেন্ডশন লেটার ইস্যুর উপর দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করে নেন। ফলে শিক্ষক নিয়োগে আর কোনও জট রইল না।
মামলাকারীদের আর্জি নাকচের কারণ হিসেবে আদালতের যুক্তি, ইন্টারভিউ তালিকা বেরোনোর পর বছর পেরিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি পঞ্চম দফার কাউন্সেলিং হয়ে যাবার পরও তাঁরা মামলা করেনি। মাত্র দু'মাস আগে মামলাকারীরা কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন৷ এত দেরিতে মামলা করায় আদালত তাই তাঁদের আবেদন খারিজ করে৷
নবম, দশম এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন(এসএসসি) একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। পরের বছর চাকরি প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা হয়। গত বছর ইন্টারভিউয়ের জন্য তালিকা বেরোয়। কিন্তু বুদ্ধদেব মণ্ডল- সহ ১৪৮ জন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থী এই বছরের সেপ্টেম্বরে ইন্টারভিউয়ের তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা ঠোকেন । বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যর এজলাসে আবেদনকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, 'এসএসসি ১:১.৪ অনুপাত না মেনে ইন্টারভিউ তালিকা তৈরি করেছে। এছাড়া, ইন্টাভিউয়ে সুযোগ পাওয়া প্রার্থীদের সমস্ত তথ্য তাঁদের নামের সঙ্গে দেওয়া হয়নি৷ ফলে ওই তালিকায় স্বচ্ছতা নেই।'
বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য গত ৮ নভেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেন, কমিশন সফল প্রার্থীদের কাউন্সেলিং করাতে পারবে৷ কিন্তু ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত রেকমেন্ডেশন লেটার ইস্যু করতে পারবে না। তবে আদালত বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয়৷