কোনও অভিযুক্তকে কোর্টে হাজির না করার জন্য পুলিশের গাড়ির পেট্রোল না থাকা, রক্ষী না থাকার কথা বলছে পুলিশ। হাজির না করার পেছনে এগুলো কি কোনো যুক্তি হল? যদি সত্যিই তা ধরে নেওয়া হয়, তাহলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কেন বন্দির বিচার হয়নি? আর এই পরিকাঠামোর অভাবই বা কেন? রাজ্য পুলিশের ডিজি'র কাছে এ বিষয়ে হলফনামা চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সোমবার তা জমা না পড়ায় হলফনামা সহ ডিজি'কে আগামী ১৩ ডিসেম্বর সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ।
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে গত বছর এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে গ্রেফতার হন নাজির মোমিন নামে এক ব্যক্তি। এই মামলায় চার্চশিটও পেশ হয়ে গেছে ৫ মাস আগে। মোমিন জেলবন্দী রয়েছে ৩২৫ দিন ধরে৷ কিন্তু এখনও তার বিচার শুরু হয়নি৷ দ্রুত বিচার শুরুর জন্য সে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু বিচারপ্রক্রিয়া শুরু না হওয়ার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে অদ্ভুত যুক্তি।
জানা গেছে, কখনো সময়মতো গাড়ি পাওয়া যায় না, কখনো রক্ষীর অভাব তো কখনো পুলিশের গাড়ির পেট্রোলের অভাবে অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করানো যাচ্ছে না। এই মামলায় ক্ষুব্ধ আদালত হাইকোর্ট এর রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং ডিজির কাছে হলফনামা চায়। রেজিস্ট্রার জেনারেল হলফনামা দিলেও ডিজি দেননি। এবার ডিজিকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।