ভোটের আগে গরু পাচার কাণ্ডে অপরাধী ধরতে তৎপর সিবিআই। এবার চক্রের মূল কাণ্ডারী এনামুল হকের ঘনিষ্ঠ বসিরহাটের ব্যবয়ায়ী আবদুল বারিক বিশ্বাসকে বৃহস্পতিবার তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বারিক বিশ্বাসকে কলকাতায় সিবিআই দফতরে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, ইম্পোর্ট-এক্সপোর্ট ব্য়বসার সঙ্গে জড়িত বারিক বিশ্বাস। তবে এই ব্যবসার আড়ালেই অবৈধ ব্যবসা রয়েছে বারিকের। এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতা, কর্মীদের অবাধ যাতায়াত ছিল বাড়িতে। তাই এবার তাঁকে জেরা করেই মূল চক্রকে ধরতে চায় সিবিআই। অপরদিকে, কাদের কাছে যেত এই মোটা অঙ্কের টাকা, কোন ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে চলত এই লেনদেন, উঠে আসছে এই সকল প্রশ্ন। বিএসএফ কর্মী থেকে শুরু থেকে কোন নেতা-মন্ত্রী টাকা নিয়েছেন , এসকল প্রশ্নের উত্তর জানতেই বারিক বিশ্বাসকে জেরা করতে চায় সিবিআই।
উল্লেখ্য, বসিরহাটের সংগ্রামপুরে বাড়ি ব্য়বসায়ী বারিক বিশ্বাসের। ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বাস পরিবারের সঙ্গে রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়। এর আগে বারিক বিশ্বাস ছিলেন বাম নেতাদের ছায়াতলে। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের ক্ষমতা হারাতেই তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান বারিক। সীমান্ত এলাকায় সকল বিষয়েই পাচারের অভিযোগ রয়েছে বারিকের বিরুদ্ধে। এদিকে বিনয় মিশ্রর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকায় চলতে যাবতীয় কাজ। কিন্তু এবার আর শেষ রক্ষা হল না। বিনয় মিশ্রের নাম বাইরে আসতেই একে একে সব রাঘব বোয়ালই সিবিআই-এর হাতে ধরা পড়ছেন। কয়লা-গরু পাচারে অন্যতম অভিযুক্ত সতীশ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিনয় মিশ্রর নাম উঠে আসে। তবে এবার এনামূল হকের ঘনীষ্ঠ বারিক বিশ্বাসকে তলব করে বড়সড় তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে অনুমান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।