নারদকাণ্ডে বৃহস্পতিবার আইপিএস এসএমএইচ মির্জাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। নারদাকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের স্টিং ফুটেজে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল মির্জাকে। তদন্তে এর আগে কয়েকবার মির্জাকে কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদও করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অবশেষে নারদ তদন্তে নেমে মির্জাকেই প্রথম গ্রেফতার করল সিবিআই। গ্রেফতারের পরই প্রাথমিক নিয়ম মেনে তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়। এরপরই মির্জাকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিন কয়েক আগেই নারদকাণ্ডে মির্জার কন্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করে সিবিআই। এর পরই যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখে গ্রেফতার করা হয় মির্জাকে। মির্জাকে অনেক দিন ধরেই নজরে রাখা হচ্ছিল বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, মির্জাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মামলায় আরও অনেক তথ্য জানার চেষ্টা করবে তদন্তকারী সংস্থা।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ম্যাথু স্যামুয়েলের করা নারদ স্টিং অপারেশন হইচই ফেলে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। নারদ স্টিং অপারেশনে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে টাকা নিতে দেখা যায়। টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল এসএমএইচ মির্জার মতো পুলিশ কর্তাকেও। ২০১৪ সালে এই স্টিং অপারেশন করা হয়েছিল বলে দাবি কেরেছন ম্যাথু। এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও মামলা হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশেই তদন্তে নামে সিবিআই। এই মামলার তদন্তে নেমে প্রায় ১৩ জনের নামে এফআইআর করে সিবিআই। বারাসতের নিম্ন আদালতের নির্দেশ অনুসারে এই মামলায় অভিযুক্ত বেশ কয়েকজেনর কন্ঠস্বরের নমুনাও সংগ্রহ করেছে সিবিআই।