শাসকদলের তিন হেভিওয়েটের খতিয়ান চেয়ে আয়কর দফতরকে চিঠি পাঠাল সিবিআই। সূত্রের খবর, মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আয়কর সংক্রান্ত ৫ বছরের নথিপত্র চেয়েছে সিবিআই।
শাসকদলের তিন হেভিওয়েটের খতিয়ান চেয়ে আয়কর দফতরকে চিঠি পাঠাল সিবিআই। সূত্রের খবর, মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আয়কর সংক্রান্ত ৫ বছরের নথিপত্র চেয়েছে সিবিআই। মূলত, তদন্তাকারীরা জানতে চান, গত ৫ বছরে এই নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি কতটা পরিমাণে বেড়েছে। একই সঙ্গে সিবিআই জানতে চায়,আয়ের উৎস হিসাবে সেখানে কী দেখানো হয়েছে। আয়কর দফতর থেকে তথ্য এলে, মন্ত্রীদের থেকেও তথ্য চাওয়া হবে বলে সূত্রের দাবি। দুই তরফের নথিই মিলিয়ে দেখা হবে।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এমনিতেই সিবিআই-র কড়া নজরে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পরেশ অধিকারী। এর মধ্যে পরেশ অধিকারীর নিজের মেয়ের নিয়োগ নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। অভিযোগ, মেধা তালিকায় না থেকেও মন্ত্রীর মেয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। এনিয়ে ববিতা সরকার নামে এক পরীক্ষার্থী মামলা করেছিলেন। ববিতার দাবি, তাঁর থেকে কম নাম্বার ছিল মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। তারপরেও নিয়োগপত্র হাতে পাননি ববিতা। অথচ ২০১৮ সালে মেখলিগঞ্জের একটি স্কুলে চাকরি পান অঙ্কিতা অধিকারী। সেই নিয়োগ ইতিমধ্যেই বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কোচবিহারের স্কুল থেকে বরখাস্ত হয়েছেন অঙ্কিতা। তাঁকে পুরো বেতনের টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, আজ ফের কেষ্টকে তলব করল সিবিআই, 'প্রতিহিংসার রাজনীতি' বললেন কুণাল
অপরদিকে, ইতিমধ্যেই এসএসসি সংক্রান্ত সমস্ত মামলায় পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার রক্ষাকবচের আর্জি খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসি সংক্রান্ত সমস্ত মামলায় তাঁকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এদিন পার্থ-র সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসেব আদালতে পেশ করা হোক। তার সারমেয়দের জন্য নাকতলায় যে ফ্ল্যাট আছে, তাঁরও টাকার উৎস পেশ করা হোক। এগুলির টাকার উৎস কী, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।'
এদিকে জোড়া মামলায় ঝুলে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। একদিকে গরুপাচার মামলা এবং অন্যদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা-র মামলায় নাম জড়িয়ে রয়েছে অনুব্রত-র। এখনও অবধি সিবিআই হাজিরা এড়িয়েছেন ৬ বারেরও ওপরে। এদিনও ভোটবর্তী হিংসার মমলায় অনুব্রতকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সিজিও কমপ্লেক্সে বেলা ১ নাগাদ হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু শেষ অবধি সিবিআই হাজিরায় এদিন উপস্থিত থাকতে পারছেন না বলে সিবিআই-কে চিঠি পাঠিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
আরও পড়ুন, পেট্রোল-ডিজেল আরও সস্তা হল কি কলকাতায় ? দেখুন সারাদেশের জ্বালানীর দর