ধরা দিয়েছেন রাজীব। সিবিআই-এর ডাকে সাড়া দিয়ে সোজা সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। বহুদিন এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল সিবিআই। রাজীব বিস্তর নাটক করেছেন এই জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে। সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ উঠে গেলে নানা ভাবে সিবিআই-কে এড়িয়ে গিয়েছেন। দূত মারফত সিবিআই-কে জানিয়েছেন তিনি ছুটিতে আছেন। এর পরে হাইকোর্ট থেকেও জুটেছে রক্ষাকবচ। তবে একই সঙ্গে সিবিআই-এর তলব আর এড়ানোর রাস্তাও ছিল না রাজীব কুমারের।
এই অবস্থায় গোটা রাজ্যই জানতে চায় ঠিক কী কথপোকথন হল সিবিআই-রাজীবে। প্রসঙ্গত এদিন চার ঘণ্টা ধরে রাজীবের বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই। প্রশ্নের পিঠে উঠে আসে নতুন প্রশ্ন।
প্রথমেই জিজ্ঞেস করা হয় রাজীবের অনুপস্থিতিতে দিলীপ হাজরাকে জেরা করতেই যে বিরাট তথ্য ভাণ্ডার বেরিয়ে এল, তা এতদিন কেন চেপে রাখা হয়েছিল? রাজীব এ বিষয়ে নিজের দায় ঝেড়ে ফেলেন, বলেন সিটের আরও অনেক সদস্য ছিলেন। সেই সব অফিসারদের থেকে জানতে চাইলেই তথ্য পাওয়া যাবে। তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
পরক্ষণেই তাঁকে জিজ্ঞেসা করা হয়, তাঁর সহকর্মীরাই বলছে তাঁরা 'বসের' অঙ্গুলিহেলনে কাজ করত। এই বিষয়ে রাজীবের কী মত। এই বিষয়েও রাজীব নিজের ঘাড়ে দায় নিতে চাননি। বলেন, সমস্ত কাজই হত তদন্তকারী অফিসারদের আলোচনার ভিত্তিতে। পরামর্শ করে স্থির হত পরের ধাপ কী হবে।
প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সিবিআই জিজ্ঞেস করে, তাহলে কি সকলে মিলেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সিবিআই-কে ফাঁকা সিডি পাঠানো হয়েছিল। রাজীব বলেন সিডি তৈরির কাজে তিনি যুক্ত ছিলেন না। তাঁর কাজ ছিল সিডি পৌঁছে দেওয়া। তিনি নিজের কথা রেখেছেন। বাকিরা কেন এমন নথি দিল সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নিক সিবিআই।
রাজীব কুমারকে ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, লাল খাতা সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নও করা হয়। বলাই বাহুল্য এসব প্রশ্নের উত্তর রাজীব খুব ভাল করে দিতে পারেননি।
স্থির হয়েছে আগামী ১২ জুন হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চে তাঁর জবানবন্দি জমা দেবে সিবিআই।