বুধবার সকাল সওয়া ৮টা নাগাদ সেখানে পৌঁছয় সিবিআই। মোট ছ'টি গাড়িতে চেপে সেখানে পৌঁছন গোয়েন্দারা। সঙ্গে ছিল সিআরপিএফ জওয়ানের দল। সেই থেকে এখনও আবাসনের ভিতরেই রয়েছে সিবিআই।
কয়লা পাচার কান্ডে কলকাতায় মন্ত্রীদের আবাসনেও পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই। সেখানেই রয়েছেন আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। কয়লা পাচার নিয়ে সেখানে তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কার্যত সেখানে বসেই জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে সূত্রের খবর। এদিকে, আসানসোলে রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়ি ও দফতরে তল্লাশি চলছে। কয়লা পাচার মামলায় মলয়ের বাড়ি ও দফতরে তল্লাশি বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার সকাল সওয়া ৮টা নাগাদ সেখানে পৌঁছয় সিবিআই। মোট ছ'টি গাড়িতে চেপে সেখানে পৌঁছন গোয়েন্দারা। সঙ্গে ছিল সিআরপিএফ জওয়ানের দল। সেই থেকে এখনও আবাসনের ভিতরেই রয়েছে সিবিআই। ভিতরে রয়েছেন মলয়ও। গোয়েন্দারা তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মলয় ঘটককে হেনস্থা করছে সিবিআই। এই শ্লোগান তুলে মলয় ঘটকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের। ‘মলয় ঘটক জিন্দাবাদ’, ‘সিবিআই দূর হঠো’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদীতভাবে সিবিআই পাঠাচ্ছে বিজেপি। কোনও দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপির কোনও নেতার বাড়িতে কেন অভিযান হচ্ছে না? এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
অন্যদিকে, মন্ত্রীদের আবাসনের বাইরে আঁটোসাটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। মলয়, তাঁর নিরাপত্তারক্ষী এবং সিবিআই আধিকারিকরাই শুধু ভিতরে রয়েছেন। বাইরে মোতায়েন সিআরপিএফ জওয়ানের দল।
বুধবার সকালে মলয় ঘটকের আসানসোলের তিনটি বাড়ি ও কলকাতার তিনটি বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। কয়লা পাচার মামলাতেই চলছে তল্লাশি। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে মলয় ঘটকের ছ’টি বাড়িতে অতর্কিতে হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। এদিকে, আসানসোলে মলয় ঘটকের এক বাড়িতে আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলর সোনা গুপ্তা আসেন। তিনি অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাধার মুখে পড়েন। তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
জুলাই মাসে মলয় ঘটককে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু সে সময় ইডি দফতরে হাজিরা দেননি তিনি। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার মধ্যেই সিবিআই হানা। অতর্কিত এই হানায় ফের বিতর্ক বঙ্গ রাজনীতিতে। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই তল্লাশি নিয়ে মুখ খোলেনি।
ফেব্রুয়ারি মাসেই রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করে ইডি। উল্লেখ্য, একুশ সালে অক্টোবর মাসে কয়লাকাণ্ডের তদন্তে ইডির সদ দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন রাজ্য়ের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। সেসময় একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে। এরপর দোসরা ফেব্রুয়ারিও মলয় ঘটককে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।