জট অনেকটাই খুলে গিয়েছে। এবার সারদাকাণ্ডের নিষ্পত্তি চায় সিবিআই। সারদা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন এবং তাঁর ডান হাত দেবযানী বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার জেরা করতে চায় সিবিআই। এই জেরায় সিবিআই-এর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে ব্যবহৃত হবে রাজীব কুমারের দেওয়া তথ্য।
গত কয়েক মাস ধরেই নাটকীয় ঘটনা পরম্পরার মধ্যে দিয়ে সারদা-কাণ্ডের রহস্য ক্রমশ পরিষ্কার হয়েছে সিবিআই-এর কাছে। রাজীব কুমারকে পেতে মরিয়া সিবিআই যখন দেখে রাজীব ছলে বলে কৌশলে অধরাই থেকে যাচ্ছেন, তখন নতুন চাল দেয় তারা। সিবিআই-এর তরফ এর তলব করা হয় সারদাকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার দিলীপ হাজরা এবং অর্ণব ঘোষকে। এদের জেরা করতে নতুন করে বেরিয়ে আসে আট ট্রাঙ্ক নথি। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা যাকে বলে, সেই অস্ত্রই ব্যবহার করার সময়। গত ২৩ মে সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ উঠে গেলে রাজকুমার প্রায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। এই সময় হাইকোর্ট তাকে সুরক্ষা দেয়। সিবিআই নোটিশেরর বিরুদ্ধে গিয়েই হাইকোর্ট বলে রাজীবের পাসপোর্ট জমা থাকবে কিন্তু রাজীবকে গ্রেফতার করা যাবে না, এমনকী রাজীব রাজ্যও ছাড়তে পারবেন না। এরপর সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়া ছাড়া উপায়ও ছিল না রাজীব কুমারের। সূত্রের খবর, সিবিআই তাঁকে প্রশ্ন করে, এই আট ট্রাঙ্ক নথির কথা কেন গোপন করা হয়েছিল। রাজীব এর খুব একটা সদুত্তর দিতেও পারেননি।
আরও পড়ুনঃ চার ঘণ্টায় চারটি প্রশ্ন, জানুন ঠিক কী জিজ্ঞেস করা হল রাজীব কুমারকে
বলাই বাহুল্য রাজূ কুমারের থেকে পাওয়া তথ্য সিবিআই-এর হাতিয়ার হয়েছে। এ যাবৎকালে পাওয়ার তিনজন দুঁদে অফিসারের তথ্যকে এক জায়গায় নথিবদ্ধ করেই সুদীপ এবং দেবযানীর মুখোমুখি হতে চলেছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই সিবিআই কে বিভ্রান্ত করার জন্য সারদার তদন্তকারী অফিসারদের নাকি পরামর্শ দিয়েছেন সিবিআই-এরই এক অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। সারদা মামলা নিষ্পত্তির মুখে দাঁড়িয়ে সিবিআই এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে। দীর্ঘ দিন ধরে গায়েব লাল ডায়েরি ,পেনড্রাইভ কোথায় গেল, কেন সেগুলি সিবিআই-এর হাতে পৌঁছলো না, ঠিক কি ছিল সেই ডায়েরি ও পেনড্রাইভে মরিয়া হয়ে জানতে চায় সিবিআই। তাই এবরা মুখোমুখি সিবিআই-দেবযানী। তারিখ ক্রমশ্য প্রকাশ্য।