কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হেনস্থার ঘটনায় এবার টান পড়তে পারে কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্য়ে। অন্তত তেমনটাই আশঙ্কা করছে রাজ্য়ের শিক্ষা মহল। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের উৎকর্ষ প্রকল্পের টাকা নিয়েও আপত্তি করতে পারে সরকার।
উৎকর্ষ কেন্দ্রের তকমা পেয়েছে অনেকদিন আগেই। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ভাগ্যে জোটেনি এখনও জোটেনি কেন্দ্রের উৎকর্ষ প্রকল্প বাবদ বরাদ্দ। পরিকাঠামো ও সংস্কার খাতের এই অর্থ দেওয়া নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে চলছিল কথাবার্তা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় দাগ লাগল যাদবপুরে। জেইউ-এর শিক্ষার পরিবেশ নিয়েই এখন প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষাবিদরা। তাঁদের আশঙ্কা, উৎকর্ষ প্রকল্পের ১০১৫কোটি টাকা পেতে এখন কালঘাম ছোটাতে হবে যাদবপুরকে।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই বিষয়ে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের চিঠি হাতে পেয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। তবে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের আলোচনার আগেই এ নিয়ে মত ব্যক্ত করেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তিনি জানান, কোনও একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে এককভাবে কেন্দ্রের সমান টাকা দেওয়া কঠিন ব্যাপার। কী কথা হয়েছিল কেন্দ্র-রাজ্যে। মানবসম্পদ বিকাশ মন্ত্রকের পরামর্শ অনুযায়ী, তাঁরা উৎকর্ষ প্রকল্পের জন্য় ৫০০ কোটি টাকা দিলে রাজ্য সরকারকেও একই পরিমাণ টাকা দিতে হবে।
ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রদীপ নারায়ণ ঘোষ। তিনি বলেন, যেভাবে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ক্যাম্পাসে চুল ধরে টানা হল, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিতে দাগ লাগল। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুটা-র সভাপতি পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, যাদবপুর বরাবরই প্রতিষ্ঠান বিরোধী। তবে কেন্দ্র উৎকর্ষের টাকা না দিতে চাইলে সেটা ভুল কাজ হবে।
বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববদ্যালয়ের পঠনপাঠন, পরিকাঠামো , গবেষণার কাজ দেখেই এই প্রতিষ্ঠানকে উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসাবে বেছেছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। দেশের মধ্যে দুটি রাজ্য বিশ্ববিদ্য়ালয়কে এই উৎকর্ষ তালিকায় রাখা হয়েছে। একটি চেন্নাইয়ের অন্না বিশ্ববিদ্য়ালয় অন্যটি যাদবপুর।