সীমানা সিল করুন এক্ষুনি, নবান্নে চিঠি পাঠাল মোদী সরকার

  • দেশের সব রাজ্য়কে বার্তা কেন্দ্রীয় সরকারের 
  • রবিবার ফের নবান্নে বার্তা পাঠিয়েছে সরকার
  •  রোনা রুখতে অবিলম্বে সীমানা সিল করার কথা
  • অন্য়থায় ফল  ভুগতে  হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র 

Asianet News Bangla | Published : Mar 29, 2020 3:52 PM IST / Updated: Mar 29 2020, 09:28 PM IST

আর দেরি করবেন না। বড্ড দেরি হয়ে গেছে। ফের দেশের সব রাজ্য়কে হুঁশিয়ারি দিল কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার ফের একবার নবান্নে বার্তা পাঠিয়েছে মোদী সরকার। রাজ্য়ে করোনা রুখতে অবিলম্বে সীমানা সিল করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে হাইওয়েতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করতে বলা হয়েছে। অত্যাবশ্য়কীয় পণ্য় বাদে কাউকে দেখলেই লকডাউনে গ্রেফতার করতে বলেছে সরকার।

রাজ্য়ে ২০ ছুঁল করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া, এবার আক্রান্ত প্রবীণ নাগরিক

গতকালই দিল্লির আনন্দ বিহারে বাড়ি ফিরতে জড় হয় হাজারো হাজারো পরিযায়ী শ্রমিক। ঘেঁষাঘেঁষিভাবে তাদের দাঁড়াতে দেখে আতঙ্ক বাড়ে স্বাস্থ্য় দফতরের। দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশাপাশি এই খবর যায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। দ্রুত সব রাজ্য়ের সীমানা সিল করার নির্দেশ দেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার সব রাজ্য়ে পৌঁছে গিয়েছে সেই চিঠি। রাজ্য়ে লকডাউনের আগে ইতিমধ্য়েই এসে পৌঁছেছে বহু শ্রমিক। অভিযোগ এদের অনেকেই নিজেদের হোম কোয়রান্টিনে রাখেননি।

এবার রাজ্য়ে করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসক, সংক্রমিতের সংখ্য়া বেড়ে ১৯..

 ২১ দিনের লকডাউন শেষ হতে এখনও ঢের দেরি। তার মধ্য়েই পেটের  তাগিদে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশের পরিযায়ী শ্রমিকরা। শনিবার আনন্দ বিহার বাস ডিপোয় বাড়ি ফেরার তাগিদে জড় হয়েছিলেন তারা। করোনা আতঙ্কের মধ্য়ে যা দেখে ভয় পেয়েছে দেশবাসী। কারণ সোশ্যাল ডিস্ট্য়ান্সিং তো দূর গা ঘেষে বাড়ি ফেরার জন্য় ছুট লাগাচ্ছিল তারা।

সোমবার থেকে খোলা থাকছে সব ব্যাঙ্ক, লকডাউনে সুবিধা দিতেই সিদ্ধান্ত...

স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের আশঙ্কা,লকডাউনের মধ্য়ে এভাবে নিয়ম ভাঙায় ওই শ্রমিকদের জন্য় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সারা দেশ। শুক্রবারই এই আশঙ্কার কথা চিন্তা করে কেন্দ্রের তরফে প্রতিটি রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেখানে নাম রয়েছে দিল্লিরও। চিঠিতে বলা হয়েছে, ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের তাদের রাজ্যে না-ফেরাতে৷ এতে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও বাড়বে।  কিন্তু শনিবার খোদ দিল্লিতেই সেই নির্দেশ মানা হল না৷ এখানে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ শুক্রবার রাত থেকে দিল্লি-গাজিয়াবাদ বর্ডার থেকেই হাজার শ্রমিক বাড়ি ফেরার উদ্যেশে তাঁদের পরিবার নিয়ে রওনা দেয়৷ শনিবার এই সংখ্যাটা কয়েক হাজারে পৌঁছয়৷

যা নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্র। সরকারের আশঙ্কা রাজ্যের আটকে পড়া শ্রমিক, পর্যটকদের ফেরানোর তৎপরতা কাল হতে পারে। এর ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আরও বাড়ছে। আর সেই কারণেই কেন্দ্রের তরফের রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা পাঠানো হল রবিবার। ভিন রাজ্যে আটকে থাকাদের ফেরাতে তৎপরতা বন্ধ না হলে বিপদ আরো বাড়বে। একথা জানিয়ে কেন্দ্রের তরফে নতুন করে ফের নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে দেশের সমস্ত রাজ্যগুলির কাছে। তবে এরই মধ্য়ে পরিয়ায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে সব রাজ্য়কে মানবিক  হতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই শ্রমিকদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ছাড়াও ওষুধের বিষয়ে দেখতে বলা হয়েচে রাজ্য়  সরকারগুলিকে।

Share this article
click me!