অন্যকে সুস্থ করতে গিয়ে নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর। শিম্পাজির গায়ে হাত দিতেই আঙুলের উপরের অংশ বাদ পড়ে তাঁর। যদিও গোসা কমেনি বাবুর।
বেশ কয়েকদিন ধরেইে শরীর ভালো যাচ্ছিল না আলিপুর চিড়িয়াখানার শিম্পাঞ্জি বাবুর। বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি ডাক্তারদেরর তলব করেন ডিরেক্টর। ডাক্তাররা এলেও বাবুর মেজাজ দেখে কাছে এগোতে সাহস পাচ্ছিলেন না কেউ। শেষে ডাক্তারদের অভয় দিতে এগিয়ে আসেন খোদ চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর আশিস সামন্ত। বুধবার দুপুরে ডাক্তারদের নিয়েই চলছিল বাবুর চিকিৎসা। ডাক্তাররা ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলে শিম্পাঞ্জিকে ধরে বসেন আশিসবাবু। তাতেই তাল কাটে চিকিৎসার। রেগে গিয়ে ডিরেক্টরের আঙুল কামড়ে দেয় বাবু। যার জেরে বাদ পড়ে আশিসবাবুর তর্জনীর উপরের অংশ। তড়়িঘডি় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
চিড়িয়াখানার কর্মীরা জানিয়েছেন, বাবু যে এই ধরনের কিছু করবে, তা ভাবতেই পারেননি ডিরেক্টর। প্রায়ই চিড়িয়াখানায় পশু,পাখিদের ঘুরে দেখেন আশিসবাবু। তবে পশুদের মন বোঝা দায় । তাই এরকম একটা দুর্ঘটনার মধ্য়ে পড়তে হল তাঁকে। জানা গেছে, আঙুলের কিছুটা অংশ বাদ গেলেও এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছেন আশিসবাবু। কিন্তু 'কাছের মানুষের' এই ব্য়বহার হতবাক করেছে তাঁকেও। যা দেখে অনেকেই বলছেন পশু হাজার মানুষের সঙ্গে থাকলেও পশুই হয়।