কলকাতা থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ চিনা রসুন। বড়বাজারের একটি গুদামে হানা দিয়ে ৪৫৯ কেজি চিনা রসুন বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। চোরাপথে ওই রসুন নেপাল, মায়ানমার বা বাংলাদেশ ঘুরে এ দেশে ঢুকছে বলে অভিযোগ। চার বছর আগেই এই চিনা রসুনের বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। নিষিদ্ধ এই রসুন বিক্রির অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এ দিন বড়বাজারের ওই গুদামে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের একটি দল। দেখা যায়, গুদামের দোতলায় বিপুল পরিমাণ চিনা রসুন মজুত করা হয়েছে। জেরায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অবশ্য দাবি করেন, তিনি জানতেন না যে এই রসুন বিক্রি করা নিষিদ্ধ। ইবি সূত্রে খবর, দেশের আরও অনেক জায়গা থেকেই এই চিনা রসুন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই চিনা দামে সস্তা হলেও স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এর মধ্যে যে উপাদানগুলি রয়েছে, তাতে ক্যানসারের সম্ভাবনা কয়েক গুন বেড়ে যায়। সেই কারণেই এই রসুনের বিক্রি এ দেশে নিষিদ্ধ করে কেন্দ্রীয় সরকার।
সাধারণত এ দেশে উৎপাদিত ভাল মানের রসুনের দাম মণ প্রতি ছয় থেকে সাত হাজার টাকার মধ্যে। সেখানে এই চিনা রসুনের দাম পড়ে মণ প্রতি মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকা। ফলে অতিরিক্ত লাভের আশায় এখনও কিছু ব্যবসায়ী লুকিয়ে এই রসুনের কারবার করেন। অভিযোগ, নেপাল, মায়ানমার হয়ে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি ধরে বা বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে এ দেশে এই চিনা রসুন পাঠানো হয়। ভারতে পৌঁছনোর পরে স্থানীয় বস্তায় ভরে সেগুলি আড়তদারদের কাছে চলে যায়। কলকাতার ক্ষেত্রে সড়ক পথে ট্রাকে করে এই চিনা রসুন ডানকুনির কাছে আনা হয়। তার পর সেখান থেকেই তা চলে আসে কলকাতার গুদামগুলিতে। এই চক্রের সঙ্গে আর কে কে যুক্ত, তা তদন্ত করে দেখছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।