কেন্দ্রীয় সরকারের বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে সর্বদল বৈঠক ডাকার দাবি করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, 'বিলগ্নীকরণ কোনও সমাধান নয়। তৃণমূল কংগ্রেস বিলগ্নীকরণের বিরুদ্ধে।' মোদী সরকারকে তাঁর কটাক্ষ, 'ধীরে ধীরে সবকিছুই বিলগ্নীকরণ হয়ে যাবে!'
আশঙ্কা ছিলই, ইঙ্গিত মিলেছিল বাজেটেও। আর্থিক মন্দার বাজারে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বিলগ্নীকরণের পথে আরও একধাপ এগোল মোদী সরকার। বুধবার ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড বা বিপিসিএল বিক্রি করার দেওয়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ঘোষণা করেছেন, বিপিসিএল-সহ পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার বিক্রি দেওয়া হবে। ওই সংস্থাগুলিতে আর কোনও সরকারি নিয়ন্ত্রণও থাকবে না। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আর বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় স্রেফ পরিচালন সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ রেখে সরকারের শেয়ার ৫১ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনারও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, মোদী জমানায় রেলেও বেসরকারিকরণে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যেই আসানসোল ডিভিশনে অনুসন্ধানকেন্দ্রগুলিকে পরীক্ষামূলকভাবে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। ডাকা হয়েছে টেন্ডারও। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বিলগ্নীকরণ করে কী কোনও লাভ হবে? প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে সর্বদল বৈঠক ডাকার দাবি করেছেন তিনি।
দেশের বেকারত্ব নিয়ে মোদী সরকারকে সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢ়রাও। নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, 'দেশের কর্মসংস্থার তৈরি না হওয়া আর্থিক বিকাশের গতি অবরুদ্ধ হওয়ার লক্ষণ। নির্মাণ শিল্পের ৩৫ লক্ষ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। দেশের সববড় শক্তি যুবকরা। তাঁদের কাজের সুযোগ কেড়ে নিয়ে অন্যায় করেছে বিজেপি সরকার।'