'ইডি-সিবিআই-কে দিয়ে বাজার দর নিয়ন্ত্রন করা উচিত ছিল', মূল্যবৃদ্ধিতে মোদী সরকারকে নিশানা মমতার

'ইডি-সিবিআই-কে দিয়ে বাজার দর নিয়ন্ত্রন করা উচিত ছিল', বৃহস্পতিবার জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধিতে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে তোপ মমতার। 

Web Desk - ANB | Published : Apr 7, 2022 11:29 AM IST / Updated: Apr 07 2022, 05:02 PM IST

'ইডি-সিবিআই-কে দিয়ে বাজার দর নিয়ন্ত্রন করা উচিত ছিল', বৃহস্পতিবার জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধিতে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে তোপ মমতার।  দেশের ৫ রাজ্যের ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই পেট্রোল-ডিজেলে মাত্রা ছাড়ানো মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। এদিন নবান্ন সভাঘরে বসে রাজ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এদিন নবান্ন সভাঘরের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পদস্ত আমলা, টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধি এবং বাজার কমিটির সদস্যরা।

জ্বালানীর দাম বাড়ার ফলের বাজারে প্রতিটি জিনিসের দামই আকাশ ছোয়া। বাজারে গেলেই ছ্যাঁকা লাগছে হাতে। এই পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানোর উদ্য়োগ নিলেন মমতা। টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে দাম নিয়ন্ত্রনে নজরদারি বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অভিযোগ, মূল্যবৃদ্ধি রুখতে কেন্দ্র কিছু করছে না। পেট্রোপণ্য়ের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে।ইডি-সিবিআই-কে দিয়ে বাজার দর নিয়ন্ত্রন করা উচিত ছিল। তা করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। প্রয়োজনে বাজারে বা গাড়ি ভাড়া করে কমদামে জিনিসপত্র মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া হবে।মুখ্যন্ত্রীর নির্দেশ, বেআইনি মজুত করা যাবে না।

আরও পড়ুন, কেমন আছেন কেষ্ট, অনুব্রত-র খোঁজে সোজা এসএসকেম-এ সিবিআই

উল্লেখ্য, বর্তমানে ৩৩২টি সুফল বাংলা আউটলেট রয়েছে রাজ্যে। বাজারদরের তুলনায় এখানে কমদামে সবজি ও ফল পাওয়া যায়। মূল্যবৃ্দ্ধি নিয়ন্ত্রনে এই আউলেটের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সুফল বাংলা স্টল চালু আছে। বাজারদরের থেকে কম দামে বিক্রি হচ্ছে সুফল বাংলায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,' প্রয়োজনে  সুফল বাংলা আউটলেটের সংখ্যা বাড়াতে হবে।' রাজ্যে এই মুহূর্তে ৩৩২টি সুফল বাংলা আউটলেট থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টি সুফল বাংলা আউটলেটের প্রস্তাব রাখা হয়েছে বৈঠকে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি  মোদী সরকারের পেট্রোপণ্য়ের মূল্যবৃদ্ধির জেরে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। এদিকে এহেন পরিস্থিতির মধ্যেই পেট্রোল-ডিজেলের আরও এক দফা দাম বাড়ানো হয়েছে। প্রায় তিন থেকে চার মাস অবধি পেট্রোল ডিজেলের দাম দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির যে উচ্চতায় পৌঁছবার পর সেই দাম স্থির হয়েছিল, তাতে আগে থেকেই নাভিশ্বাস উঠেছিল সাধারণ মানুষের। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেই আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। অপরিশোধিত তেলের দর নিয়ে সারা বিশ্বই উদ্বেগের মধ্য়ে ছিল। এই যুদ্ধই তেলের দামে বিস্ফোরন ঘটায়।এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব ভারতের উপরও পড়ে। যদিও দেশের  ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল বেরোনোর আগে অবধি তেলের দাম ভারতে বাড়েনি। তবুও বিশেষজ্ঞরা ধরে নিয়েছিলেন ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল বেরোনোর পরেই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পথে হাঁটবে মোদী সরকার। আর শেষমেষ সেই পথেই এগোয় কেন্দ্রীয় সরকার।

 

Read more Articles on
Share this article
click me!