দাপুটে নেতা বলেই রাজ্য রাজনীতি পরিচিত তিনি। ইটের বদলে পাটকেল মারায় বিশ্বাসী। হাজারো সমালোচনা সত্ত্বেও তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর নিতে বার বার এই নিজের এই টোটকাই কর্মী, সমর্থকদের দিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই দিলীপ ঘোষেরই অন্য চেহারা দেখলেন দলের নেতা, কর্মীরা। বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার বলি হওয়া কর্মী, সমর্থকদের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন দিলীপবাবু। মঞ্চে তখন হাজির মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মতো বিজেপি নেতারা।
আরও পড়ুন- চড়া সুগার, প্রেসার, এসএসকেএমে ভর্তি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল
এ দিন কলকাতার একটি অভিজাত প্রেক্ষাগৃহে বিজেপি-র সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি বলেন, দলীয় কর্মীদের অনেক পরিশ্রম, আত্মত্যাগের ফলে রাজ্যে সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু তা করতে গিয়েই একের পর এক দলীয় কর্মী রাজনৈতিক হিংসার বলি হচ্ছেন বলে আফশোস ঝরে পড়ে দিলীপবাবুর গলায়। রীতিমতো কান্না ভেজা গলায় তিনি বলেন, 'গত বছর থেকে এখনও পর্যন্ত ষাট জনের বেশি কর্মী বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন। দল এগিয়েছে, সাফল্য এসেছে। কিন্তু তা এসেছে ডজন ডজন কর্মীর প্রাণের বিনিময়ে। প্রায় রোজই আমি কোনও না কোনও কর্মীর মরদেহে মালা দিচ্ছি। এক এক সময় নিজেকে অপরাধী মনে হয়।'
কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর নিতে গেলে যে এই পথ থেকে সরে আসা যাবে না, তাও এ দিন মনে করিয়ে দিয়েছেন দিলীপবাবু। কিছুটা সামলে উঠেই তিনি বলেন, 'বাংলায় আমরা যে রাস্তায় এগিয়েছি, সেই রাস্তায় ফুল বিছনো নেই, কাঁটা বিছিয়ে দেওয়া রয়েছে। আমরা বলেছিলাম, উনিশে হাফ, একুশে সাফ। আমরা সেই জায়গার অনেকটাই কাছাকাছি চলে এসেছি। বাংলার মানুষ আমাদের কথা শুনেছেন'
খড়্গপুরের সাংসদ দাবি করেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন, বাংলায় দলীয় কর্মীরা কীভাবে তৃণমূলের সন্ত্রাসের মোকাবিলা করছেন, সেকথা অন্য রাজ্যের সাংসদদেরও জানাতে। সেই মতো রাজ্য বিজেপি-র পক্ষ থেকে একটি লিফলেট ছাপিয়ে তা অন্য রাজ্যের বিজেপি সাংসদদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দিলীপ।