'ভেবেচিন্তেই গুলি মারার নিদান', বিতর্কের মাঝেও নিজের অবস্থান অনড় দিলীপ

  • সিএএ আন্দোলকারীদের গুলি মারার নিদান
  • ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে দিলীপ ঘোষ
  • নিজের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ তিনি
  • কটাক্ষ করলেন বিরোধীদেরও 

Tanumoy Ghoshal | Published : Jan 15, 2020 1:57 PM IST / Updated: Jan 15 2020, 07:29 PM IST

যতই বিতর্ক হোক না কেন, নিজের অবস্থানে অনড় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, মুখ ফসকে নয়, বরং ভেবেচিন্তেই সিএএ বিরোধিতার নামে অশান্তি ছড়ালে গুলি মারার নিদান দিয়েছেন।  যাঁরা 'গুলি মন্তব্য'-এর সমালোচনা করেছেন, তাঁদের কটাক্ষও করেছেন দিলীপ।

রবিবারের ঘটনা। নদিয়ার রানাঘাটে এক জনসভায় এ রাজ্যে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আন্দোলনে নামে অশান্তি ছড়ালে গুলি মারার নিদান দিয়ে জড়ান বিতর্কেও।  বলেন,  'এ রাজ্যে কোটি অনুপ্রবেশ রয়েছে। তারা আমার-আপনার টাকায় খাচ্ছে। অন্তত পাঁচশো কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে।  কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে একটি লাঠিও চলেনি, গুলিও চলেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ কাউকে গ্রেফতারও করেনি। অসমে, উত্তরপ্রদেশে আমাদের সরকার শয়তানগুলিকে গুলি করে মেরেছে, তুলে নিয়ে গিয়ে কেস দিয়েছে। ওরা এখানে আসবে, খাবে, আবার এখানকার সম্পত্তি নষ্ট করবে? জমিদারি পেয়েছে নাকি! লাঠি মারব, গুলিও মারব, জেলেও পাঠাবো। আমাদের সরকার তাই করেছে।' এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। রানাঘাট ও হাবড়ায় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে জোড়া এফআইআর দায়ের করেছে তৃণমূল। বস্তুত দলের রাজ্য সভাপতি 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' খোদ আসানসোলের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও।
 

আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব আইনের প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী, রায়গঞ্জে উত্তেজনা

এতকিছুর পরেও নিজের মন্তব্য থেকে একচুলও সরতে নারাজ দিলীপ ঘোষ।  বুধবার কলকাতা বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনেও একই কায়দার গুলি মারার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।  আর যাঁরা 'গুলি মন্তব্য' -এর বিরোধিতা করছেন, কটাক্ষ করলেন তাঁদেরও। দিলীপ ঘোষের সাফ কথা, 'যাঁরা নাম করতে চাইছে, তাঁরাই আমার মন্তব্যের বিরোধিতা করছেন। নাম ছড়াতেই এফআইআর করেছেন।' কিন্তু খোদ বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও তো গুলির মারা নিদানের সমালোচনা করেছেন? বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির প্রতিক্রিয়া, 'সবাই সব ব্যাপারে একমত হবে এটা তো কেউ বন্ড লিখে দেয়নি। পার্টির আমি সভাপতি। সংগঠনের কি কেউ বিরোধিতা করেছে? সবার নার্ভ সমান নয়। সবাই সইতে পারে না। দলে গণতন্ত্র আছে তাই সবাই সব কিছু বলতে পারে। আগেও আমায় বলেছে।'  নাম না করে কি দলের সাংসদকেই বার্তা দিতে চাইলেন দিলীপ? জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।

Share this article
click me!