মুখ্যসচিবের ভোট-পরবর্তী হিংসার রিপোর্টে অসন্তুষ্ট, টুইট করে জানালেন রাজ্যপাল

  • রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল
  • এনিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিলেন তিনি
  • আজ রাজভবনে যান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী
  • মুখ্যসচিবের রিপোর্টে সন্তুষ্ট নন রাজ্যপাল

debojyoti AN | Published : Jun 7, 2021 4:20 PM IST / Updated: Jun 07 2021, 09:51 PM IST

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। গত মাসেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু, অব্যাহত রয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা। আর তা নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। এনিয়ে কথা বলতে আজ মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেই মতো আজ বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে রাজভবনে যান মুখ্যসচিব। প্রায় দেড় ঘণ্টা তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। 

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে একাধিক টুইট করেছেন তিনি। রবিবারও একটি টুইটে রাজ্যের ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেছিলেন। লেখেন, "রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক ৷ নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গুরুতরভাবে আপোস করা হচ্ছে ৷ এই কঠিন সময়ে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে এবং ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আমাকে জানানোর জন্য সোমবার ৭ জুন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ডেকে পাঠিয়েছি।" 

সেই মতো আজ বিকেলে রাজভবনে গিয়ে ভোট-পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত বেশ কিছু রিপোর্ট রাজ্যপালের হাতে তুলে দেন মুখ্যসচিব। যদিও সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হননি রাজ্যপাল। মুখ্যসচিব রাজভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই তা নিয়ে টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। লেখেন, "ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে পারেননি। বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আবার তাঁকে আসতে বলা হয়েছে।"

 

 

তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। সেই সময়ও একাধিক রিপোর্ট তাঁর কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তখনও রিপোর্ট দেখে সন্তুষ্ট হননি তিনি। বরং হিংসা দেখতে নিজেই বেরিয়ে পড়েছিলেন। আর তা নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মধ্যে তিক্ততা শুরু হয়েছিল। 

Share this article
click me!