কোন ওষুধে কুপোকাত করোনা, কত ডোজ দিচ্ছেন রাজ্য়ের ডাক্তাররা

  • অসুস্থ  থেকে সুস্থ হচ্ছেন রোগীরা
  • মারণ রোগ থেকেও মিলছে পরিত্রাণ
  •  বেলেঘাটা আইডি থেকে বাাড়ির পথে রোগীরাা
  • কোন পথে করোনা রুখতে সক্ষম হচ্ছেন ডাক্তাররা
     

Asianet News Bangla | Published : Apr 9, 2020 7:53 AM IST / Updated: Apr 09 2020, 01:46 PM IST

অসুস্থ  থেকে সুস্থ হচ্ছেন রোগীরা। মারণ রোগ থেকেও মিলছে পরিত্রাণ। রাজ্য়ে বেলেঘাটা আইডি থেকে একে একে বাাড়ির পথে পা বাড়িয়েছেন একাধিক রোগী। খোদ এই ঘটনায় রাজ্য়ের ডাক্তারদের প্রশংসা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু কোন পথে করোনা রুখতে সক্ষম হচ্ছেন ডাক্তাররা। কোন মহাঔষধিতে সাড়া দিচ্ছেন রোগীরা ?

এই মুহূর্তে কলকাতার সেরা ১০ খবর,যা আপনাকে ভাবাবেই..

করোনা রোধে প্রতিষেধক বেরোইনি এখনও। পাওয়া যাইনি কোভিড১৯ মোকাবিলার কোনও ওষুধ। যদিও স্বাস্থ্য় ভবনের কর্তারা বলছেন, করোনা রুখতে অসাধারণ কাজ করছে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সি-ক্লোরোকুইন। ইতিমধ্য়েই বিশ্ববাজারে পৌঁছে গিয়েছে সেই খবর। যেকারণে রাতারাতি করোনা মোকাবিলায়  মহৌষধির রূপ নিয়েছে হাইড্রক্সি-ক্লোরোকুইন। এই ওষুধের জন্য় পরম বন্ধু মোদীকে হুমকি দিতে ছাড়ছেন না আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও পরে ওষুধ দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

৫০০ টাকা করে ঢুকছে অ্যাকাউন্টে, মোদীকে নমস্তে জানালো কলকাতা..

একবার দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন করোনায় আক্রান্তরা। ইতিমধ্য়েই রাজ্য়ে প্রথম করোনা আক্রান্ত লন্ডন ফেরত আমলা পুত্র সুস্থ হয়ে বাড়ি গিয়েছে। শেষ করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসায় বেলেঘাটা আইডি থেকে ছাড়া হয়েছে স্কটল্যান্ড ফেরত হাবড়ার  তরুণীকে। আইডি সূত্রে খবর, উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসার ওপর ভিত্তি করে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল  অব মেডিক্য়াল রিসার্চ বা আইসিএমআর-এর গাইডলাইন মেনে ওই রোগীদের হাইড্রক্সি-ক্লোরোকুইন ২০০ মিলিগ্রাম দেওয়া হয়। দিনে দুবার করে ওই ওষুধ ১০ দিন  খাওয়ানো হয় করোনা আক্রান্তদের। সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ অ্যাজিথ্রোমাইসিন।

লকডাউনে মদের হোম ডেলিভারি ! খবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন পুলিশ কমিশনারের.

প্রথম দিন রোগী হাসপতালে এলেই ৫০০ মিলিগ্রাম অ্যাজিথ্রোমাইসিন দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম দিন পর্যন্ত ডোজ কমিয়ে দেওয়া  হচ্ছে অ্যাজিত্রোমাইসিন। দিনে একবার ২৫০ মিলিগ্রাম করে এই ডোজ দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। ইতিমধ্য়েই রোগীরা সুস্থ হয়ে ওঠায় বেলেঘাটা আইডির চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে বাকি হাসপাতালগুলিতে। এছাড়াও লোপিনাভির , রিটোনাভির ও ওসেলটামিভির ব্যবহার করার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রক। 

সেক্ষেত্রে  লোপিনাভির ২০০ মিলিগ্রাম ও রিটোনাভির ৫০ মিলিগ্রাম  ওষুধ দিনে দুবার করে খাওয়ানো যেতে পারে আক্রান্তদের। রোগী মুখ দিয়ে ওষুধ না খেতে পারলে তা দিতে হবে চ্যানেলের মাধ্য়মে। সেক্ষেত্রে ডোজ বাড়িয়ে লুপিনাভির ৪০০ মিলিগ্রাম ও রিটোনাভির ১০০মিলিগ্রাম দিন দুবার করে রোগীর  শরীরে প্রয়োগ করতে হবে। তবে এসবই প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক ফল । এখনই এগুলো দিলেই রোগী সেরে যাবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ডাক্তাররা। তবে হাইড্রক্সি-ক্লোরোকুইন প্রয়োগে রোগী যে সাড়া দিচ্ছে তা চোখে পড়েছে চিকিৎসকদের। 

Share this article
click me!