স্থলভাগের দিকে যতই এগিয়ে আসছে ততই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas)। বুধবারই ওড়িশার বালাসোর ও ধামরা বন্দরেক মাঝামাঝি এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসমভাবন। স্থলভাগে পৌঁছানোর সময় cyclone yaas-এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণঝড়ের ব্যপক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কলকাতা বিমান বন্দরের উড়ান পরিষেবা। বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৭টা ৪৫ পর্যন্ত বন্ধ থাকবেনেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের উড়ান পরিষেবা। অন্যদিকে প্রায় একই অবস্থা উড়িশার। ওড়িশার বিজু পট্টনায়ক বিমান বন্দরের উড়ান পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকেই। স্থানীয় প্রশআসন জানিয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় উড়ান পরিষেবা চালু করা হবে।
ঘূর্ণিঝড় যশের (Cyclone Yaas) প্রভাবে বাংলা ও ওড়িশা দুটি রাজ্যের ব্যপক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আবাহওয়া খারাপ থাকায় সোমবার থেকেই বাতিল করা হয়েছে একগুচ্ছ ট্রেন। করোনা সংক্রমণ রুখতে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তবে রেল কর্মীদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালান হচ্ছিল। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আপাতত সেই ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে ঝড়ের কারণে দিন কয়েক আগে থেকেই ট্রেন ও লঞ্চগুলিকে বেড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলা ও উড়িশার উপকূলবর্তী এলাকা থেকে এপর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওড়িশার বালাসোরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা নামাতে হয়েছে। বাংলাতেই দিঘায় নামান হয়েছে সেনা। কাজ করছে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যর। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সদস্য কমল কিশোর জানিয়েছেন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা সংস্থাগুলিতে বিদ্যুৎ অক্সিজেন পরিষেবার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।