দমদম পার্কের ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল , দাবি বিজেপি নেতা পীযুষ কানোরিয়ার

  • দমদম পার্কে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ প্রসাদ
  • এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পার হয়ে গেছে
  • পীযুষ কানোড়িয়া বলেছেন, ওটা তৃণমূলের গোষ্ঠী দন্ধ
  • তাঁর মতে, ওরাই বিজেপির নাম নিয়ে অপবাদ ছড়াচ্ছে 
     

Ritam Talukder | Published : Dec 21, 2019 12:11 PM IST


দমদম পার্ক এলাকাতে এবার গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ প্রসাদ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পার হয়ে গেছে। বিজেপি নেতা পীযুষ কানোড়িয়া বলেছেন, ওটা তৃণমূলের গোষ্ঠী দন্ধ। ওরাই বিজেপির নাম নিয়ে অপবাদ ছড়াচ্ছে। এই ঘটনার একদিন আগে শমিত ভট্টাচার্য, পীযুষ কানোড়িয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদকে ধন্য়বাদ জানিয়ে মিছিল করেছিল দমদম পার্ক থেকে নাগের বাজার অবধি। সেই মিছিলকেই কেন্দ্র করেই কি এই রাজনৈতিক দ্বন্ধ, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে দক্ষিন দমদম এলাকার যুবনেতা এই বিশ্বজিৎ স্থানীয় দমদম পার্ক তরুন দলের সভাপতি। এদিন সন্ধ্যায় তিনি তার সঙ্গিদের সঙ্গে তরুন দলের পুজোর স্থান সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে দাড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় বাইকে করে তিন দুষ্কৃতি আসে ঘটনাস্থলে। তারাই কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে বিশ্বজিৎকে লক্ষ্য করে। তার মধ্যে একটি গুলি লাগে বিশ্বজিতের পায়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় বিশ্বজিৎ পড়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে যায় বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তার চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।

 ওই হাসপাতালে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বিশ্বজিৎকে দেখতে যান রাজ্যেত দমকল মন্ত্রী তথা বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বোস। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন বিশ্বজিৎকে উদ্ধার করার পরে লেকটাউন থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল ভাল করে পরিক্ষা করে। তখনই সেই জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় একটি তাজা বোম সহ দুটি পিস্তল। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকার বসিন্দাদের মধ্যে। তাদের দাবি দুষ্কৃতিরা পালাতে গিয়ে বোমা ছোড়ার চেষ্টা করছিল। তখনই একটি বোমা পড়ে গিয়েছিল। যেটি ফাটেনি। পরে পুলিশ সেই বোমাই উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করে। 

বিশ্বজিতের ঘনিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। সেখান থেকেই এই ঘটনার পিছনে জড়িয়ে থাকা কারণ জানার চেষ্টা করছে লেকটাউন থানার পুলিশ। তবে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ওই জায়গায় কয়েক দিন ধরেই বহিরাগত বেশ কিছু যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছিল। তারা বেশ কিছু বিষয়ে নজর রাখছিল বলেই স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ফলে বিশ্বজিতের এই ঘটনার পিছনে পূর্ব পরিকল্পনার তথ্য উঠে আসছে। এলাকার বসিন্দারা আরও দাবি করেছেন এলাকা দখল নিয়ে অনেক দিন ধরেই একটা চাপা উত্তেজনা চলছিল। এই জায়গাটি দীর্ঘ দিন ধরেই তৃণমূলের সংগঠনের অন্তর্গত। সেই জায়গায় এবার পুজো দখল করাকে কেন্দ্র করেও বেশ চাপান উতোর শুরু হয়েছিল। তবে এলাকার বাসিন্দারা সেই বিষয়টি হতে দেননি। কিন্তু তারপরে এদিনের ওই ঘটনায় কার্যত অবাক গোটা পাড়া।

 নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ইতিমধ্য়েই রাজ্য়ের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীকে এই আইন লাগু করার জন্য় ধন্য়বাদ জানিয়ে মিছিল করেছে বিজেপি ও গেরুয়াপন্থী সংগঠনগুলি। যদিও তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে তৃণমূলের লোকজন।

Share this article
click me!