শরতের নীল আকাশ আর মাঠে ঘাটে কাশ ফুল জানান দিচ্ছে ঘরে মেয়ের আসার সময় হয়েছে। সেই আনন্দ মেতে উঠেছে শহর কলকাতা সহ গোটা বাংলা। সেই মতো শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতিও। কলকাতার অলিতে গলিতে চলছে পুজোর থিম, প্যান্ডেল, আলোর রোশনাই দিয়ে সাজানোর প্রস্তুতিপর্ব। বছর পরে মেয়ে বাড়ি আসছে বলে কথা। সেই প্রস্তুতিতে পিছিয়ে নেই চোরবাগান সর্বজনীন-ও। এবার তাদের থিম 'দৃষ্টি থাক সৃষ্টিতে'।
আরও পড়ুন বাংলা শেখার শুরু 'বর্ণপরিচয়' দিয়েই, সেটাই এবার থিম হরিঘোষ স্ট্রিটের
এই বছর ৮৪-তম বর্ষে পা দিল এই পুজো। প্রতি বছরই তারা নিত্য নতুন ভাবনা নিয়ে আসে। এবার তাঁদের ভাবনায় 'দৃষ্টি থাক সৃষ্টিতে'। একজন মহিলা যেমন সারাদিনের কাজ সামলেও মায়ের ভূমিকা পালন করেন, দশভূজা হয়ে রক্ষা করেন সবকিছু। ঠিক তেমনই একজন শিল্পী তাঁর অর্ন্তদৃষ্টি দিয়ে ফুটিয়ে তোলেন তাঁর ভাবনা। এবছরও তাঁরা নিয়ে এসেছেন পরিবেশ বান্ধব পুজো। এবছরে তাদের ব্যানার দেখে চমকে উঠছেন সকলে কারণ তাতে লেখা 'সবাইকে বলো এবার আমাদের ১৫ লাখ'। তবে পুজো মন্ডপে গেলেই ১৫ লাখ পাওয়া যাবে। না, সেরকমটা নয় তাদের মন্ডপ তৈরি হচ্ছে এবার প্রায় ১৫ লক্ষ ধুঁদুল দিয়ে। বাংলার অতি পরিচিত একটি প্রাকৃতিক জিনিস হল এটি। আমরা বাড়িতে এর ব্যবহার দেখে থাকি। তবে তা দিয়ে প্যান্ডেল সত্যিই অনবদ্য ভাবনা। এছাড়া তাদের ভাবনায় ফুটে উঠবে 'দৃষ্টি থাক সৃষ্টিতে'। আদি সৃষ্টির ছবি প্রতিমার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠবে।
এই বছরও ভাবনায় রয়েছেন দেবতোষ কর, আলোর দায়িত্বে রয়েছেন দীনেশ পোদ্দার। আবহ-র দায়িত্বে দেবজ্যোতি মিশ্র।
প্রতি বছরের মতো এবছরও তাঁরা আশাবাদী তাদের পুজো নিয়ে। ইকো-ফ্রেন্ডলি পুজো তার পাশাপাশি রয়েছে নতুন ভাবনায় তৈরি প্রতিমা। সব মিলিয়ে এবারেও জমজমাট চোরবাগান। তাই ১৫ লাখের চমক জানতে গেলে আসতে হবে চোরবাগান সর্বজনীন-এ।