"যা খরচ হচ্ছে সেই তুলনায় টাকা পাচ্ছি না রাজ্যের কাছ থেকে। বন্ধ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদানও।"
পঠনপাঠনের মান ধরে রাখতে প্রয়োজন পরিকাঠামোর উন্নয়নের। কিন্তু কোষাগাড়ে টান পড়ছে রাজ্যের পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের। অর্থ সংকটের মুখে পড়ে এবার রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের কাছেও আর্থিক সাহায্যের আর্জি জানাল যাদবপুর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানিয়েছেন, "যা খরচ হচ্ছে সেই তুলনায় টাকা পাচ্ছি না রাজ্যের কাছ থেকে। বন্ধ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদানও।" বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকর্ষতা বজায় রাখতেই রাজ্য সরকারের পাশাপাশি প্রাক্তনীদেরও এগিয়ে আসতে আর্জি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের।
আর্থিক সংকটের জেরে কঠিন হচ্ছে রাজ্যের পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ধরে রাখা। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। অর্থ সাহায্য চেয়ে রাজ্যকে চিঠিও দিয়েছে যাদবপুর। পাশাপাশি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের কাছেও।
২৪ অক্টোবর উপাচার্যর লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, "আমাদের পঠনপাঠন, বিশেষত বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উৎকর্ষতা বজায় রাখতে আমরা আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছি। বিশ্ব মানের জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলি রয়েছে, তার মোকাবিলায় প্রতিনিয়ত পরিকাঠামোর উন্নয়ন,পড়ুয়াদের অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ানো এবং উচ্চশিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলা প্রয়োজন।" পাশাপাশি উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, ক্রমেই কমছে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি অনুদান। এই পরিস্থিতিতে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বিভিন্ন বিভাগের পঠনপাঠন।