দেবাঞ্জন ইস্যুতে আরও তৎপর হতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থাৎ ইডি (ED)। শুক্রবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড, রেমিডিসেভির এবং অক্সিজেনের কালোবাজারি এই বিষয়গুলি নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
আরও পড়ুন, ভোট পরবর্তী হিংসায় তছনছ চোপড়া, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এল কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন
সূত্রের খবর, ইতিমধ্য়েই মিলেছে দিল্লির সবুজ সংকেত। তাই সম্ভবত শুক্রবারই দেবাঞ্জনকাণ্ডে ইডি কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট (ECIR) বা এফআইআর (FIR)দায়ের করতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একইভাবে রেমিডিসেভির এবং অক্সিজেনের কালোবাজারি নিয়েও এফআইআর হতে পারে। সম্ভবত এদিন নগরদায়রা আদালতে দুটি আলাদা এফআইআর দায়ের করবে ইডি। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে দেবাঞ্জনের ৮ টি ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। যার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার লেনদেনও হয়েছে। রেমিডিসেভির এবং অক্সিজেনের কালোবাজারিতেও টাকা এদিক ওদিক হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছে, এই ঘটনাগুলিতে বিপুল অর্থ তছরুপ হয়েছে। সূত্রের খবর, তাই প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং আইনে তদন্ত শুরু করতে চলেছেন অফিসাররা।
আরও পড়ুন, লকডাউনে মুম্বইয়ে মালিককে খুন, মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত ঠিকা শ্রমিক
উল্লেখ্য, আগেই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের কাছে নথিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছিল ইডি। সেই নথি খতিয়ে দেখেই এবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত চালানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, কলকাতায় কয়েশো মানুষকে ভুয়ো ভ্যাকসিন দিয়েছেন দেবাঞ্জন দেব। অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও প্রতারণার শিকার। মূলত ঘটনাটির পর্দা ফাঁস হয় মিমির হাত ধরেই। এদিকে তারপরই প্রকাশ্যে বেরিয়ে পড়ে ধৃত দেবাঞ্জনের সঙ্গে শাসকদলের শীর্ষ নের্তৃত্বের ছবি। তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। এদিকে ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে শহরের কয়েশো মানুষ। কলকাতা পুলিশের হাত ধরে একের পর এক দেবাঞ্জনের জালিয়াতির রহস্য ফাঁস হয়ে যায়। তবে এবার রাজনৈতিক মহলের মতে, যদি দেবাঞ্জনকাণ্ড নিয়ে কলকাতা পুলিশ এবং ইডি একইসঙ্গে তদন্তে নামে, তাহলে আবারও কেন্দ্র ও রাজ্য সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।