ফের রাতের শহরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। এবার ঘটনাস্থল গণেশ চন্দ্র অ্যাভেনিউ। শুক্রবার রাতে মধ্য কলকাতার গণেশ চন্দ্র অ্যাভেনিউয়ের এক পুরোনো বহুতলে বিধ্বংসী আগুন লাগে। আগুন ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা বহুতলে। আটতলা বাড়িটিতে বহু পরিবার থাকায় প্রাণ বাঁচানোর জন্য হইচই পড়ে যায়। আতঙ্কের জেরে প্রাণ বাঁচানোর জন্য বহুত থেকে ঝাঁপ দেন এক কিশোর। পরে তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আগুনের ধোঁয়ার অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় এক বয়স্ক ব্যক্তির।
আগুনের তীব্রতায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। বাসিন্দারা সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বহুতলের বিভিন্ন জায়গায়। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় বাসিন্দাদের মধ্যে। খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। আগুনের ভয়াবহতা দেখে পরে আরও ইঞ্জিন সংখ্যা বাড়ানো হয়। শেষ পর্যন্ত জানা গিয়েছে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় বহুতলের বাসিন্দাদের উদ্ধার করার পাশাপাশি আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন দমকল কর্মীরা। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হাই়ড্রোলিক ল্যাডারও নিয়ে আসে দমকল। কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা দমকলকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সেই ল্যাডারে করে উদ্ধার করেন অধিকাংশ বাসিন্দাদের। এক দমকল আধিকারিক বলেন,'ছাদের দরজা খোলা ছিল বলে বড় বিপর্যয় এড়ানো গিয়েছে। না হলে যে রকম আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল তাতে স্টিফেন কোর্টের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারত।'
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। আগুন লাগার কারণের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে দমকল মন্ত্রী জানান, পুরোনো বাড়ির মিটার বক্সের শট সার্কট থেকেই এই আগুন লাগে। ঘিঞ্জি অবস্থা ও প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলেও জানান সুজিত বসু। তবে কুলিং প্রসেস চলবে। এক বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়েও নিশ্চিত করেন দমকল মন্ত্রী। এবং ঘিঞ্জি এলাকায় মানুষকে আরও সচেতন হওয়ার কথাও বেন তিনি।