দর্শকশূন্য পুজোয় আপত্তি বিভিন্ন পুজো কমিটি-র, নির্দেশ পুনর্বিবেচনায় হাইকোর্টে ফের আবেদন

  • দর্শকশূন্য পুজো করা নিয়ে সোমবার নির্দেশ দিয়েছে আদালত
  • পুজো মণ্ডপের সামনে করতে হবে নো এন্ট্র জোন
  • এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিভিন্ন পুজো কমিটি
  • অবশেষে মঙ্গলবার নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করতে ফের আবেদন

রুশি পাঁজা, প্রতিনিধি- দর্শকশূন্য পুজো-র নির্দেশকে ঘিরে সোমবার থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন পুজো কমিটি এই নির্দেশের বিরোধিতাও করেছে। অবশেষে, ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটি মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে ফের আবেদন জমা করল। এই আবেদনে দর্শকশূন্য পুজো-র নির্দেশকে পুনর্বিবেচনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

ফোরা ফর দুর্গোৎসব কমিটির পক্ষে এই আবেদন করেছেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালত প্রথমে এই আবেদনে আপত্তি জানায়। পরে অবশ্য, মামলা দায়েরের আবেদনে অনুমতি দেয়। বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। কারণ, মামলা দায়েরের পর সব পক্ষকে নোটিস পাঠাতে হবে। একদিনের মধ্যে নোটিস পাঠানো সম্ভব হলে বুধবার শুনানি হতে পারে বলেই খবর আদালত সূত্রে। 

Latest Videos

ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির দাবি, এভাবেই পুজো দর্শকশূন্য হয়ে গেলে বিজ্ঞাপণের অর্থ আদায়ে সমস্যায় পড়তে হবে পুজো কমিটিগুলি-কে। কারণ, এই দর্শকদের কথা ভেবেই পুজো প্যান্ডালে বিজ্ঞাপণ-এর হিড়িক পরে। এবার বিজ্ঞাপণ বাবদ অর্থ আদায় না হলে পুজো কমিটিগুলির মাথায় বিশাল দেনার বোঝা চাপতে পারে বলেও দাবি করা হচ্ছে। 

সোমবারই পুজো নিয়ে মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট যথেষ্টই কড়া পদক্ষেপের পক্ষেই সওয়াল করেছে। কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েও দিয়েছিল, উৎসব আগে না জীবন। জীবন থাকলে উৎসব থাকবে বলেই মত দুই বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ পরিষ্কার জানিয়ে দেয় যে এবারের পুজো দর্শকশূন্যভাবেই করতে হবে। কারণ, অতিমারির এই সঙ্কটকালে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। এই মুহূর্তে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হলেও, তা ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় পুজো প্যান্ডালে একাধিক মানুষের ভিড় সোশ্যাল ডিস্টান্সিং-এর নিয়মকে বুড়ো আঙুল তো দেখাবেই, তার সঙ্গে মাস্কের ঠিকমত না ব্যবহার সংক্রমণের গতিকে আরও দ্রুতগতিতে বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা এক্কেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই, জীবন যেখানে বড়, সেখানে উৎসবের আনন্দ বড় হতে পারে না বলেই মনে করছে কলকাতা আদালত। 

যার জেরে রাজ্যের সমস্ত পুজো মণ্ডপের সামনেই ব্যারিকেড ও নো-এন্ট্রি বোর্ড ঝোলানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশিকার স্পষ্ট উল্লেখ করেছে, পুজো মণ্ডপের মেন গেট যেখান থেকে শুরু হচ্ছে সেখান থেকে ১০ ও ৫ মিটার দূর থেকে এই নো-এন্ট্রি জোন শুরু করতে হবে। বড় পুজোর ক্ষেত্রে ১০ মিটার এবং ছোট পুজোর ক্ষেত্রে ৫ মিটার-এর দূরত্ব লাগু করা হয়েছে। 

পুজোয় বিধিনিষেধ নিয়ে যে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল তাতে দাবি করা হয়েছিল, পুজো মণ্ডপের এলাকাগুলিকে এক একটি কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হোক। আদালত অবশ্য এই আবেদন মানেনি। বরং কনটেনমেন্ট জোনের বদলে নো-এন্ট্রি জোন-এর নির্দেশ দেয়। 

কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে অধিকাংশ পুজো কমিটি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, এই নির্দেশের ফলে তারা ক্ষতির সম্মুখিন হবেন। এমনকী, পুজোগুলির সঙ্গে বহু দিন-আনা দিন খাওয়া শ্রমিকরা জড়িত, তারাও অর্থ পাবেন না। আবার অনেকে আদালতের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তারও কথা বলছেন। তাদের দাবি, ছট পুজোর সময় যখন রবীন্দ্র সরোবরে পরিবেশ আইনকে বুড়ো আহুল দেখানো হয়, তখন কেন নিয়ম লাগু করা যায় না। 

Share this article
click me!

Latest Videos

Viral Video! আবাসের টাকা ঢুকতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাটমানি চাইছেন TMC কর্মী | Murshidabad Latest News
প্রেমের আড়ালে লক্ষাধিক টাকা লুঠ! প্রতারণার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর কাহিনি | South 24 Parganas News Today
‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh
'কুমিল্লা ছেড়ে চলে যা' কুমিল্লায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা! | Bangladesh News |
শীতের রাতে যমুনার আতঙ্ক! একের পর এক জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘিনী | Bandwan Tiger News