কতটা বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় যশ, সে ব্যাপারে খোঁজ নিতে আলিপুর আবহাওয়া দফতরে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যশের অবস্থান ও সার্বিক পরিস্থিতির খবর নেন তিনি। রাজ্যপাল জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই অধিকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে তিনি জেনে নেন যশের পরিস্থিতি সম্পর্কে।
রাজ্যপাল জানিয়েছেন এনডিআরএফ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল, সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই প্রস্তুত তান্ডব লীলা পরিস্থিতি সামাল দিতে। রাজ্য সরকারও যথেষ্ট ভূমিকা নিয়েছে। সুন্দরবন, কাকদ্বীপ ও উপকূলবর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষদের ইতিমধ্যেই ত্রাণশিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রাজ্য সরকার বিপর্যয় মোকাবিলা দল, এনডিআরএফ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করছে।
আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় যশ এখন সিভিয়ার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। আগামী ১২ ঘন্টায় এটি আরো শক্তি বাড়িয়ে ২৬ তারিখ সকালে উড়িষ্যা ও বাংলার উপকূলের ধামরাতে পৌঁছাবে। তারপর এটি বিকেলে পারাদ্বীপ ও সাগর দ্বীপের মাঝখান দিয়ে বালাশোরের উপরে দিয়ে বেরিয়ে যাবে।
এই ঝড়ের প্রভাবে ২৫ তারিখ থেকে হাওড়া, হুগলী, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারি বৃষ্টি হবে. অতি ভারি বৃষ্টি হবে পূর্ব মেদিনীপুর,দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনাতে। বুধবার বৃষ্টির পরিমান দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে বাড়বে। ঘুর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas) নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালে থেকেই কন্ট্রোলরুমে থাকবেন তিনি। রাতে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদেরও নবান্নে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনে সেনা নামানো হতে পারে রাজ্যে। ঘুর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas) এর ল্যান্ডফল নিয়ে এখনও পর্যন্ত সঠিক কোনও তথ্য হাতে পারননি। তাই সকাল থেকেই নজর রাখবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় গতকালই কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি।