'সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ বা সংশ্লিষ্ট মানুষদের পুলিশ দিয়ে ভয় দেখানোর দিন শেষ। এসব আর বরদাস্ত করা হবে না।' গড়িয়া শ্মশানকাণ্ডকে 'চূড়ান্ত পর্বে' নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সঠিক তথ্য জানানোর দাবি জানিয়ে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের প্রধান ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দিয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা ও যাদবপুরের বিধায়ক সুজয় চক্রবর্তীও।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার দুপুরে। কমপক্ষে ১৪টি মৃতদেহ নিয়ে কলকাতা পুরসভার একটি গাড়ি পৌঁছয় গড়িয়া মহাশ্মশানে। দু'টি দেহ গাড়ি থেকে নামিয়েও ফেলা হয়। মৃতেরা করোনা আক্রান্ত ছিলেন না তো? এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। শ্মশানের সামনে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল ও সিপিএম নেতা। চলে আসে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে কোনওমতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। তবে বিক্ষোভের জেরে শেষপর্যন্ত দেহগুলির সৎকার করা যায়নি। দিন কয়েক আগে এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে টুইট করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। গড়িয়া শ্মশাকাণ্ডে রাজ্য়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেন তিনি।
রাতে ফের টুইট করে রাজ্যপাল জানান, 'পশ্চিমবঙ্গে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছ থেকে জবাব এসেছে। মৃতদেহ সৎকারে অব্যবস্থা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে ভবিষ্যতে নিয়ম-পদ্ধতি পালনের কথা বলা হয়েছে। এমন অমানবিক অপরাধ যাঁরা করেছেন, তাঁদের ছেড়ে পুলিশ লেলিয়ে যাঁরা এমন ঘটনা সামনে এনেছেন তাঁদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে।' তাঁর হুঁশিয়ারি, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিস্তারিত জানতে চাইব। বিষয়টি চূড়ান্ত পর্বে নিয়ে যাব।'
এদিকে আবার ভাইরাল ভিডিও-সহ কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের প্রধান ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি লিখেছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা ও যাদবপুরের বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীও। তাঁর লিখেছেন, 'আচম্বিতে, এ ধরনের ঘটনায় গড়িয়া শ্মশান এবং স্থানীয় এলাকায় জনমানসে বিক্ষোভ এবং প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক। স্বভাবতই, মানুষ সঠিক তথ্য জানতে চায়।' চিঠিতে প্রশ্নের আকার নিজের বক্তব্য় তুলে ধরেছেন বাম বিধায়ক।