হাওড়া পুরবিল নিয়ে ক্রমশ জট বাড়ছে। হাওড়া পুরবিলে সই নিয়ে রাজ্যের দাবি ওড়ালেন রাজ্যপাল।
হাওড়া পুরবিলে (Howrah Municipal bill) সই নিয়ে রাজ্যের দাবি ওড়ালেন রাজ্যপাল ( Governor Jagdeep Dhankhar)। হাওড়া পুরবিল নিয়ে ক্রমশ জট বাড়ছে। কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র মুখোপাধ্যায় জানান যে, রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড় হাওড়া পুরবিলে সই করেছেন। এদিকে কোনও পুরবিলে সই করেননি বলে দাবি জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এই ঘটনার পর টুইটও করেছেন রাজ্যপাল। এবার কলকাতা পুরসভা ভোটের (KMC Polls) সঙ্গে হাওড়া পুর ভোট না হওয়ায় সরব শাসকদল। আর এবার রাজ্যপালের টুইট ইস্যুতে আরও একধাপ উসকে গেল।
টুইটে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় লিখেছেন, 'হাওড়া পুরনিগম সংশোধনী বিলটি এখনও রাজ্যপালের বিবেচনাধীন।' এদিকে তার আগে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চকে রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র মুখোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টে জানান, 'হাওড়া ও বালি পুরসভার বিলে সই করেছেন রাজ্যপাল।তাই সেখানে ভোট হতে আর কোনও সমস্যা নেই।' এদিকে এরপরেই শুভেন্দু অধিকারি দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে রাজ্যপালের কথা হয়েছে। তিনি কোনও পুরবিলে সই করেননি বলেই জানিয়েছেন। এরপরে রাজ্য়পালের এই টুইটের পরেই বাড়ে জটিলতা। শুভেন্দু বলেছেন, টিভিতে আমি দেখেছি যে, হাওড়া বিল রাজ্যপাল ছেড়ে দিয়েছে। আমি মাননীয় রাজ্যপালকে জিজ্ঞেস করার সুযোগ পেয়েছিলাম, এটা সত্য়ি কিনা। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তিনি কোনও বিল ক্লিয়ার করেননি।এটা এখনও পেন্ডিং রয়েছে।
মূলত কলকাতা পুরসভা ভোটের সঙ্গে এবার হাওড়া পুর ভোট না হওয়ায় সরব শাসকদল। বিশেষ করে হাওড়া পুরভোটের দেরী হওয়ার জন্য রাজ্যপালকে দায়ী করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়।বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অভিযোগ, হাওড়া থেকে বালি পুরসভা আলাদা করার জন্য বিলে রাজ্যপাল সই করেছেন। আর সেই কারণেই হাওড়ায় ভোট করানো সম্ভব হচ্ছে না। অধ্যক্ষ আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি যদি একরাতের মধ্যে তিনটি কৃষি বিল সই করতে পারেন, তবে রাজ্যপাল কী উদ্দেশ্য নিয়ে এটাকে আটকে রেখেছেন। বিল অনুমোদনের জন্য তিনবার তা রাজভবনে পাঠানো হলেও সই করেননি রাজ্যপাল, দাবি শাসকদলের।এদিকে বিল নিয়ে ১৮ টি প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। 'প্রয়োজন হলে বিল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে', বলেও দাবি রাজ্যপালের। প্রসঙ্গত, ভোটে বিপুল জয়ের পর বকেয়া পুরভোটের সময়ে এবার কলকাতা এবং হাওড়া একইদিনে পুরভোট চেয়েছিল শাসকদল। কিন্তু শেষ অবধি তা হয়নি। কলকাতা পুরভোট ইতিমধ্যে মিটে গেলেও হাওড়া পুরভোটের ভাগ্য় ঝুলেই রয়েছে।