বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি রাজ্যপালের। গত ৫ বছরে বাণিজ্য়িক সম্মলেনর তথ্য চেয়েও পাননি বলেই টুইট করেই জানান রাজ্যপাল।
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (Bengal Business Summit )নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি রাজ্যপালের। উল্লেখ্য, ২০ এবং ২১ এপ্রিল বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের উদ্ধোধনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Modi), একথা নিজেই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। আর এবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor Jagdeep Dhankhar)।
বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি পাঠান রাজ্যপাল। এর পাশাপাশি ওই চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টেও ট্য়াগও করে টুইট করেন জগদীপ ধনখড়। গত ৫ বছরে বাণিজ্য়িক সম্মলেনর তথ্য চেয়েও পাননি বলেই টুইট করেই জানান রাজ্যপাল। ২০১৬ সাল থেকে কত বিনিয়োগ হয়েছে, কর্মসংস্থান হয়েছে কিনা, সে সংক্রান্ত প্রশ্ন আরও একবার জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি ত্য জানতে চাওয়া যে তাঁর সাংবিধানিক অধিকার, একথা বলেছেন রাজ্যপাল। ধনখড়ের দাবি, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য় সম্মেলনের সাফল্য নিয়ে নানা দাবি করা হয়। তবে তাঁর সঙ্গে বাস্তব তথ্যের কোনও মিল নেই। প্রসঙ্গত, বুধবার নয়া দিল্লিতে মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর এক মাস্টার স্ট্রোক দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যা/। আসন্ন বেঙ্গল বিজনেস সামিটের উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বাংলায় আমন্ত্রণ জানালেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বাইরে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের মমতা জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকবেই। কিন্তু, তার প্রভাব কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের উপর পড়া উচিত নয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় দুই সরকারের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকাটা দরকারি। আর সেই সম্পর্ককে মেরামত করতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দিক থেকে প্রথম পদক্ষেপটি নিলেন।
অপরদিকে, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মমতার আমন্ত্রণে আদৌ প্রধানমন্ত্রী মোদী সাড়া দিয়েছেন কিনা, এনিয়েও জনসমক্ষে সন্দেহের বীজ পুতেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাড়িয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন,' বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আদৌ প্রধানমন্ত্রী এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন কিনা, আসবেন কিনা, সেটা প্রমাণ সাপেক্ষ। মুখমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে এই তথ্য দিয়েছেন। ভিতরের কথা কী আর আমরা জানি না। উনি যা বলেন, তা সত্যি বলেন কিনা সন্দেহ। প্রধানমন্ত্রী এখনও কিছু বলেননি। 'দিলীপ আরও বলেন,' তাও বলব, যদি প্রধানমন্ত্রী আসেন তাহলে রাজ্য়ের পক্ষে ভালো। মমতার এটাই দশ বছর আগে করা উচিত ছিল। তখন উনি বোঝেননি। মোদীজি-র ইমেজে গুজরাট আজ কী হয়ে গিয়েছে, সেটা হয়তো উনি ত্রিপুরা যাওয়ার পর বুঝেছেন। মোদী মানেই শিল্প আর উন্নয়ন। তাই মোদীকে আনতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এখন তৎপর হয়েছেন। যদি এটা হয়, তাহলে বাংলার ছেলেরা চাকরি পাবে। বাংলার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। তবে আমি জানি না, এটা কতটা ঠিক। আপনাদের সামনে উনি এটার বলার জন্য বলেছেন।'