কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্ধার করতে এসে নিজেই ফাঁপড়ে পড়েছিলেন। টানা দেড় ঘণ্টা ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়ে বসে থাকতে হয় গাড়িতে। শেষে বাবুলকে উদ্ধার করতে সমর্থ হলেন রাজ্যপাল।
এদিন সন্ধেবেলা বাবুলের পথেই আটকানো হল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে। রাজ্যপালের কনভয়ের সামনে শুয়ে পড়লেন বিক্ষোভকারীরা। ফলে ছাত্রদের বিক্ষোভে সামনে গাড়ির মধ্য়েই বসে থাকতে হয়েছে রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। কোনওভাবেই বেরিয়ে আসতে পারেননি তাঁরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আগমনে ক্যাম্পাসে লোডেড ম্যাগাজিন পাওয়া যায়। যা নিয়ে আপত্তি তোলে ছাত্ররা। যা নিয়ে রাজ্যপালের সমানেই মন্ত্রীর কাছে জবাব চান ছাত্ররা। পরে পুলিশ ছাত্রদের সঙ্গে কথা বললে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসে। নিজেদের বক্তব্য রাজ্যপালের কাছে পাঠান ছাত্ররা।
সন্ধেবেলা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ৪ নম্বর গেটে বাধা পেয়ে ৩ নম্বর গেট দিয়ে ভিতরে ঢোকেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ।সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যপালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কলকাতা পুলিশের বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় ক্য়াম্পাসে। পরে বাবুলকে নিয়ে গাড়িতে বসার সঙ্গেই শুরু হয় হুজ্জুতি। গাড়ির বনেটে চাপড় মারতে শুরু করে ছাত্ররা। সঙ্গে কেন্দ্রীয মন্ত্রীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ চলতে থাকে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে রাজ্যপালের। রাজ্যপাল ভবন থেকে সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে,যে ভাবে বিশ্ববিদ্য়ালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আটকে থাকতে হয়েছে, তা রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দর্শায়। স্বাভাবিকভাবেই রাজ ভবনের এই বিবৃতিতে চাপে পড়েছে রাজ্য সরকার।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে স্পট টু অ্যারেস্টের পরামর্শ দেন তিনি। ত্রিপাঠী বলেন,ছাত্রদের শিক্ষা বহির্ভূত বিষয়ে বেয়াদপি করলে শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। প্রশ্রয় দিলেই ছাত্র সমাজের ক্ষতি। এদিকে বিকেলে ছাত্রদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।