তাঁর নির্দেশে ইতিমধ্যেই নবান্নে চালু হয়েছে দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানানোর বিশেষ সেল। তার পরে দলীয় সভা থেকেই দলের নেতাদের কাটমানি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নির্দেশের পর থেকেই জেলায় জেলায় কাটমানি ফেরত চেয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তৃণমূল নেতারা। এমন কী, কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের বিরুদ্ধেও।
আরও পড়ুন- কাটমানি বিক্ষোভে বাড়ি, গাড়ি ভাঙচুর, ভয়ে পার্টি অফিসে আশ্রয় তৃণমূল উপপ্রধানের
তাতেও অবশ্য দুর্নীতি নিয়ে তিনি যে তাঁর কড়া অবস্থান বদলাচ্ছেন না, তা স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের অধীনে যে গ্রিভান্স সেল খোলা হয়েছে, তা এবার জেলা জেলায় পৌঁছে যাবে। কাটমানি নেওয়া হোক বা যে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট জেলায় গিয়ে তা খতিয়ে দেখবেন গ্রিভান্স সেলের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় গিয়েছেন গ্রিভান্স সেলের দায়িত্বে থাকা দীপ্তাংশু চৌধুরী।
নবান্নে যে গ্রিভান্স সেল খোলা হয়েছে, সেখানেও সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারছেন সাধারণ মানুষ। ই- মেল, টোল ফ্রি নম্বর বা এসএমএস করে অভিযোগ জানানো যাচ্ছে। গত ১০ জুন থেকে এই গ্রিভান্স সেল কাজ করা শুরু করেছে। তার পর থেকেই গ্রিভান্স সেলে জমা পড়েছে অসংখ্য অভিযোগ। যার একটা বড় সংখ্যাই এসেছে শাসক দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেলাশাসক, মহকুমাশাসক এবং ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকরা প্রতি সোমবার দুর্নীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনবেন।