এবারে কলকাতা বইমেলার থিম থাকছে কান্ট্রি বাংলাদেশ। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উৎযাপন এবং ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধ ৫০ বছরের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন এই বছরেই।
৪৫ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা (45th International Calcutta Book Fair) আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি (28th Feb) থেকে শুরু হচ্ছে। এই মেলা চলবে ১৩ই মার্চ (13th March) পর্যন্ত। তার আগেই সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের (Central Park) মেলা মাঠ পরিদর্শন করলেন গিল্ড কর্তৃপক্ষ। এবারে কলকাতা বইমেলার থিম থাকছে কান্ট্রি বাংলাদেশ। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উৎযাপন এবং ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধ ৫০ বছরের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন। এবারে মেলায় প্রায় ৬০০ স্টল থাকছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রায় ৫০টি স্টল থাকবে এবং লিটল ম্যাগাজিনের দুশোর কাছাকাছি স্টল থাকবে।
গত বছররের নভেম্বরের গোড়ায় বইমেলার আয়োজক সংস্থা ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’-এর তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, কোভিড-১৯ বিধি সম্পূর্ণ মেনে ৩১ জানুয়ারি থেকে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে হবে ২০২২ সালের মেলার আয়োজন। কিন্তু এই সময়কালে যে রাজ্যের চারটি পুরনিগমের ভোট পড়ে যাওয়াতে তৈরি হয় সমস্যা। প্রাথমিকভাবে ঠিক যে চারটি পুরনিগমের ভোট হবে ২২ জানুয়ারি। কিন্তু কোভিডের তৃতীয় ঢেউ ও ওমিক্রণ আতঙ্কের কারণে শেষ পর্যন্ত পুরভোট পিছোনোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
২২ জানুয়ারির বদলে ভোট পিছিয়ে দিনক্ষণ স্থির করা হয় ১২ ফেব্রয়ারি হবে ৪ পুরনিগমের ভোট। আর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। ফলে সেই সময় জারি থাকবে নির্বাচন আচরণ বিধি। যা বই মেলার আয়োজনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। বিগত ২ বছর ধরে কোভিড অতিমারী বারবার বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বইমেলার পথে। শেষবার সাফল্যের সঙ্গে বইমেলা দেখেছিল শহরবাসী ২০২০ সালে। ২০২১ সালে করোনার কারণে বইমেলা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আশা ছিল ২০২১ সালে কোভিড বিধি মেনে নির্দিষ্টি সময়ে হবে বই প্রেমীদের প্রাণের মেলা। কিন্তু এবার প্রাথমিকভাবে বাধা হয়ে দাঁড়াল মূল দুটি কারণ। এক করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্ত।
প্রায় এক মাস পিছিয়ে গেল কলকাতা বইমেলার তারিখ। তবে বই প্রেমিদের কাছে স্বস্তির খবর এবারের বই মেলা বাতিল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা এখনও নেই।