পিছিয়ে গেল শুনানি। নার্সিং পড়ুয়াদের আইনজীবী অসুস্থ থাকার কারণে পিছিয়ে গেল মামলা। এনআরএস কুকুরকাণ্ডে ২১ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ দিল আদালত। সোমবার শিয়ালদহ কোর্টে অভিযুক্তদের দেখেই হামলামুখী হলেন পশুপ্রেমীরা।
এদিন এনআরএস কাণ্ডে নার্সিং পড়ুয়াদের অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে পশুপ্রেমীরা শিয়ালদহ কোর্টে হাজির হন। অভিযুক্তদের আদালত থেকে বের করার সময় প্রবল উত্তেজনা সৃষ্টি হয় শিয়ালদহ কোর্ট চত্বরে। হলুদ ট্যাক্সি করে পড়ুয়ারাদের বের করার সময় নার্সিং পড়ুয়াদের ওপর চড়াও হয় পশুপ্রেমীরা। শুরু অকথ্য ভাষায় গালাগালিজ। মৌটুসী ও সুমির বিরুদ্ধে এন্টালি থানায় চার্জশিট গঠন করা হয়।
গত ১৩ জানুয়ারি এনআরএস-এ ১৬টি কুকুরছানা দেহ পাওয়া যায়। প্যাকেট বন্দি অবস্থায় ওই দেহগুলি উদ্ধার করেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তিনিই অভিযোগ করেন পিটিয়ে মারা হয়েছে ওই ওই কুকুরছানাগুলিকে। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, ওই অভিযোগই সত্য়ি। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের দুই নার্সের কীর্তি প্রকাশ্য়ে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই দুই নার্সকে কুকুরগুলিকে পিটিয়ে মারতে দেখা যায়। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা শহর। দুই ছাত্রীকে দু'মাসের জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মেনে সাসপেন্ড করা হয়। পরে তদন্ত প্রক্রিয়ায় নেমে অভিয়ুক্ত মৌটুসি মণ্ডল ও সোমা বর্মনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে পুলিশ।
এর আগে এনআরএস হাসপাতালে কুকুর নিধন কাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তৎকালীন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। ফোনে এনআরএস হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মানেকা জানিয়ে দেন, যে দুই ছাত্রীর নামে কুকুর হত্যার অভিযোগ উঠেছে, দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বহিষ্কার করতে হবে রাজ্য নার্সিং কাউন্সিল থেকে। এর অন্যথা হলে নার্সিং স্কুলের লাইসেন্স বাতিল করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পরবর্তীকালে দুই নার্সিং ছাত্রীকে সাসপেন্ড করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।