একুশের ভোটে হিংসা রুখতে এখনই পথে, ৭১টি বিধানসভায় সমীক্ষা চালাবে কমিশন

  • বছর দেড়েক বাকি থাকতেই পথে নামল নির্বাচন কমিশন
  •  বিধানসভা ভোটে হিংসা রুখতে ৬মাস রাজ্যবাসীর মন বুঝবে কমিশন
  •  সমীক্ষার কাজ করতে খোঁজ শুরু হয়েছে এজেন্সির
  • কী থাকবে নির্বাচন কমিশনের সেই সমীক্ষার ফর্মে

Asianet News Bangla | Published : Dec 2, 2019 11:40 AM IST / Updated: Dec 02 2019, 06:13 PM IST

বছর দেড়েক বাকি থাকতেই পথে নামল নির্বাচন কমিশন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে হিংসা রুখতে আগামী ৬মাস রাজ্যবাসীর মন বুঝবে কমিশন। সমীক্ষার কাজ করতে খোঁজ শুরু হয়েছে এজেন্সির।

শ্মশানের বাতাসের জেরে বাসা বদল, কলকাতার ঘুম কাড়ছে কেওড়াতলা

তিন বিধানসভা উপ নির্বাচনের পর এবার একুশের বিধানসভার প্রস্তুতি শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, রাজ্যে অবাধ নির্বাচনের জন্য ৭১টি বিধানসভায় সমীক্ষা চালাবে নির্বাচন কমিশন। রাজ্য়ের প্রতিটি বিধানসভার ১০ টি পোলিং বুথের ১৫ টি  পরিবারের মধ্য়ে চালানো হবে এই সমীক্ষা। ইতিমধ্যেই দিল্লি নির্বাচন কমিশনের তরফে এই সমীক্ষার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে সব রাজ্য়গুলিকে। সমীক্ষার জন্য ফর্মও তৈরি  হয়েছে।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মূলত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে এই সমীক্ষায়। ভোটের সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কমিশনের যোগাযোগ কেমন ছিল তা বুঝতে চেষ্টা করবে ইসি। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এই সমীক্ষাপত্রের উত্তর দিতে হবে রিটার্নিং অফিসার, বিডিও, জেলার নির্বাচনী আধিকারিক ও প্রিসাইডিং অফিসারকে। 

একদিনেই প্রতারিত পঁচিশজন, যাদবপুর জুড়ে এটিএম আতঙ্ক

সূত্রের খবর, ২০২১ সালের মে মাসেই বিধানসভা নির্বাচন হতে  পারে রাজ্যে। তার জন্য সেপ্টেম্বরেই এই সমীক্ষা শুরু করার কথা বলা হয়েছে। ৬ মাস ধরে সমীক্ষা হওয়ার পর ২০২০ সালের মাঝামাঝি শেষ হবে এই সমীক্ষা। বিগত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে প্রবীণ নাগরিক ও প্রতিবন্ধীদের কী পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছে তাও দেখা হবে সমীক্ষায়। তবে শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদেরই নয়, নতুন সমীক্ষায় প্রশ্ন থাকবে ১৫-১৭ বছরের ছেলে মেয়েদের কাছে। নির্বাচন সম্পর্কে তাদের মনোভাবও বুঝতে চাইছে কমিশন।

রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বলছে, তিন বিধানসভা উপ নির্বাচনে হারের মুখ দেখেছে বিজেপি। জন্ম লগ্নের ২১বছর পর এই প্রথমবার খড়গপুরে খাতা খুলেছে তৃণমূল। দিলী ঘোষের খাসতালুকে পদ্মফুল ছেড়ে ঘাসফুল তুলে নিয়েছে জনগণ। যার জেরে বেশ আস্বস্তিতে পড়েছেন বিজেপির  রাজ্য় সভাপতি। যদিও তিনি বলেছেন, উপ নির্বাচন দিয়ে কখনও বিধানসভা নির্বাচনের ওজন মাপা ঠিক নয়। উনিশে হাফের পর একুশে রাজ্য থেকে সাফ হয়ে যাবে তৃণমূল।   

Share this article
click me!