রাতভর বৃষ্টিতেও গুমোট ভাব কাটল না কলকাতার। উল্টে প্রবল আদ্রতায় ঘাম ঝড়েই চলেছে মহানগরের। যার ফলে ঝিড়ি ঝিড়ি বৃষ্টি হলেও অস্বস্তি কমছে না তিলোত্তমার। একই পরিস্থিতি দুই ২৪ পরগণায়। হাওয়া অফিস বলছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবার, ৪ অগস্ট উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপরে একটা নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এর ফলে অগস্ট মাসের ৪ ও ৫ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সর্বত্র বৃষ্টি হবে। ৪ তারিখ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের দুই ২৪ পরগনার, নদিয়া, বীরভূম, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলিতে। বাকি জেলাগুলোতে শুধু ভারী বৃষ্টি হবে।
৫ তারিখে ভারী বৃষ্টি হবে পশ্চিমের জেলাগুলোতে। যেহেতু উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। তাই মৎস্যজীবীদের ৪ ও ৫ তারিখ সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ। যারা বেরিয়ে গেছে মাছ ধরতে তাদের ৪ তারিখ সকালের মধ্যে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গে উপরের পাঁচটি জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিংপং, আলিপুরদুয়ার এই জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং নীচের তিনটে জেলা মালদা ও দুই দিনাজপুর মোটামুটি হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
মহানগরের আবহাওয়া বলছে, সোমবার শহর ও শহরতলি জুড়ে ভ্য়াপসা গরম ছিল। কলকাতার তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৪ তারিখ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপরে একটা নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এর ফলে অগস্ট মাসের ৪ ও ৫ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সর্বত্র বৃষ্টি হবে। যেহেতু উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপ তৈরি হবে। তাই মৎস্যজীবীদের ৪ ও ৫ তারিখ সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ। যারা বেরিয়ে গেছে মাছ ধরতে তাদের ৪ তারিখ সকালের মধ্যে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে,গতকাল সারা রাত বৃষ্টিতেও ঠান্ডা হয়নি শহর। উল্টে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ রয়েছে সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ। যার ফলে তীব্র গরমের পর ঘামে সর্দি, কাশি লেগেই রয়েছে। এখন প্রবল বর্ষণের অপেক্ষায় মহানগরবাসী।