পাচারের আগেই উদ্ধার করা গেল। রায়দিঘি থেকে বহু মূল্যবান তক্ষক উদ্ধার করল পুলিশ। জানা গেছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রায়দিঘির চুপড়িঝেড়ায় হানা দেয় পুলিশ। ধরা হয় দুই সন্দেহভাজন বক্তিকে। তাঁদের কাছ থেকেই উদ্ধার হয় ওই তক্ষক। ধৃত দুই ব্য়ক্তির নাম নুর আলম বৈদ্য ও ভগবান পাত্র।
জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে,রাজ্যের বাইরে পাচারের উদ্দেশ্যে এই তক্ষক নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। গ্রেফতার করার পর তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, আন্তর্জাতিক বাজারে পূর্ণবয়স্ক এই তক্ষকের দাম কয়েক লক্ষ টাকা হবে। চিন , থাইল্যান্ড ছাড়াও উপমহাদেশে তক্ষকের বিশাল চাহিদা রয়েছে। অনেকের ধারণা, বিশাল অঙ্কে এই তক্ষক বিক্রি হয় আন্তর্জাতিক বাজারে। মূলত, যৌন উত্তেজনামূলক ওষুধ বানাতে এই তক্ষক কাজে লাগে বলে বিশ্বাস চিনের। অনেক ক্ষত্রে তক্ষকের গা থেকে এক ধরনের তেল পাওয়া যায় বলে ধারণা অনেকের। মানুষের আয়ু বাড়াতেও এই তক্ষক কাজে লাগে বলে বিশ্বাস করে থাইল্যান্ডের মানুষ। সেখানে অনেক ক্ষেত্রে চিনে ধনীদের বাড়িতে তক্ষক পোষার চল রয়েছে।
সূত্রের খবর, বাংলা থেকে উত্তরপূর্বের রাজ্য হয়ে চোরা পথে চিনে চলে যায় এই সরীসৃপ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক বাজারে তক্ষক পৌঁছে দিতে কাজে লাগানো হয় বিদেশের নেটওয়ার্ক। বাংলার চোরাপাচারকারীরা কয়েক লক্ষ টাকা পেলেও আন্তর্জাতিক বাজারে এই তক্ষকের মূল্য ১০ লক্ষ টাকার বেশি। তাই অন্যান্য বন্যপ্রাণী ছেড়ে তক্ষক পাচারের দিকে ঝুঁকছে চোরা পাচারকারীরা।