আমফান নিয়ে অতিরঞ্জিত হিসেব দেবেন না,ফের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ রাজ্য়পালের

আমফানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এবার রাজ্য়পালের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী। গতকালই কাকদ্বীপে আমফানে রাজ্য়ে এক লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সরাসরি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে বাক্য সংবরণ করতে বললেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়।
 

Asianet News Bangla | Published : May 24, 2020 11:09 AM IST / Updated: May 24 2020, 04:51 PM IST

আমফানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এবার রাজ্য়পালের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী। গতকালই কাকদ্বীপে আমফানে রাজ্য়ে এক লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সরাসরি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে বাক্য সংবরণ করতে বললেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়।

রবিবার টুইটে  রাজ্যপাল বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ, রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখুন। সেটা রাখলে তিন দিন আগেই সেনাবাহিনীকে তলব করা যেত। এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেনি রাজ্য়পালের বাক্যবান, পাল্টা ধনখড় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য দিন। অতিরঞ্জিত হিসাব দিলে তার ফল উল্টো হবে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য়পালের এই মন্তব্য় নিয়ে পাল্টা ময়দানে নেমেছে শাসক দল।

আমফান পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক হেলিকপ্টারে উঠেছিলেন রাজ্যপাল। পরে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তাঁর ৫০ লক্ষ টাকা দানের অনেকেই  ভেবেছিলেন, সাইক্লোন এসে বোধহয় রাজ্যপাল-নবান্নের বরফ গলল।  যদিও রবিবার স্বমহিমায় দেখা গেল রাজ্য়পালকে। সকাল সকাল ফের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে কড়া টুইট করলেন ধনকড়।

সম্প্রতি রাজ্য়ে এসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ না জেনেই হাজার কোটি রাজ্য়কে অ্যাডভান্স করার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার কাকদ্বীপে গিয়ে রাজ্যে আমফানে এক লক্ষ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি  হয়েছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। যদিও রাজ্য় রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ঝড়ের ক্ষতির মূল্যায়ন না করেই এই কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। মূলত,কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর এই বিশাল অঙ্কের 'মানসিক বোঝা' চাপিয়ে দিতেই এই অঙ্কটা বলে রাখলেন তিনি।   

এদিন কাকদ্বীপে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,আমরা একসঙ্গে ৪টি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। করোনা, লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিক এবং ঘূর্ণিঝড় । করোনার জন্য এক টাকাও এখনও পাইনি। কেন্দ্রের থেকে কোনও টাকাই আমরা পাচ্ছি না। এই ঘূর্ণিঝড়ে ১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। জেলায় মোট প্রায় ১০ লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত । বর্ষার আগে রাস্তার মেরামতি করে দিতে হবে। 

Share this article
click me!