হইয়াও হইল না শেষ। সম্প্রতি মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্য়পালের ছবি দেখে বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন,এবার হয়তো রাজ্য়-রাজ্য়পাল সংঘাতে ইতি পড়বে। কিন্তু বাজেট বক্তৃতার শেষে ফের টুইটারে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়।
মার্চেই হয়তো দোতালা বাস ফিরবে কলকাতায়, এবার খোলা ছাদে শহর দেখবে যাত্রীরা
সোমবার অর্থমন্ত্রীর ভাষণের সরাসরি সম্প্রচার হলেও বিধানসভার অধিবেশনের প্রারম্ভিক ভাষণ কেন সম্প্রচার হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্য়পাল। টুইটারে তিনি লেখেন,অর্থমন্ত্রীর ভাষণের সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তবে বাজেট অধিবেশনের আমার প্রারম্ভিক ভাষণের সরাসরি সম্প্রচার করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমকেও দূরে রাখা হয়েছিল। রাজ্যবাসীর উপরে এই ঘটনার বিচারের ভার দিলাম। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য়পালের এই মন্তব্য়ে অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য় সরকার।
কী গল্প কলকাতাকে শোনাল রোবট কন্যা সোফিয়া, দেখুন সেরা ১২ ছবি
গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়েছে। নানা জল্পনা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের 'বুলি আওড়ান' রাজ্য়পাল। প্রথমে অবশ্য বাজেট ভাষণে নিজের বক্তব্য় উল্লেখ করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। যা থেকে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য় রাজনীতিতে। সাংবাদিকদের প্রকাশ্য়ে তিনি বলেন, ভাষণের দিন কী হয় তার জন্য় অপেক্ষা করতে। যদিও রাজ্য়পালের এই চিন্তাধারা ভালোভাবে নেয়নি শাসক দল। সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য়পালকে যে সরকারের দেওয়া ভাষণই পড়তে হয়, তা মনে করিয়ে দেয় শাসক দল। শেষ পর্ষন্ত রাজ্য়ের দেওয়া ভাষণই পেশ করেন তিনি। যদিও এদিন বাজেট পেশের সম্প্রচার নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন ধনখড়।
কেজরিওয়ালের পথ ধরেই কি বিধানসভার বৈতরণী পার হতে চাইছেন মমতা
দায়িত্ব নেওয়ার পরই রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকের ডাক দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেই থেকে সংঘাতের সূত্রপাত। একের পর এক ঘটনায় দূরত্ব বেড়েছে ক্রমশ। তবে চলতি বছর সাধারণতন্ত্র দিবসে মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যপালের আমন্ত্রণে চা চক্রে উপস্থিতি দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন সম্পর্কের মোড় বোধহয় ঘুরল। রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে প্রারম্ভিক বক্তব্য নিয়ে প্রাথমিকভাবে জটিলতা তৈরি হয়েছিল।