আগে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার পার্শ্ব শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ালেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। শিক্ষকদের অনশন নিয়ে এবার সরাসরি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক।
পার্শ্ব শিক্ষকদের আন্দোলনে এসে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন,একজন শিক্ষামন্ত্রী হয়ে মূর্খের মতো কথা বলছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপরও তাঁর শিক্ষামন্ত্রী পদে থাকা উচিত কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মতে, যে রাজত্বে শিক্ষকদের পথে বসতে হয়, সেই রাজত্বে রাজা ও সমাজ উভয়কেই পথে বসতে হবে।
বুধবার বিধান নগরে পার্শ্বশিক্ষকদের ধরনা অনশন মঞ্চে উপস্থিত হন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। বিকাশ ভবনের সামনে ধর্না মঞ্চে কৈলাস বিজয়বর্গী অনশনরত পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। রাজ্যের পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই অনশন আজ ১৪ দিনে পড়ল। পরে তার উপস্থিতিতে পার্শ্বশিক্ষকরা নির্জলা উপবাস-এ যাওয়ার অঙ্গীকার করলে বিজয়বর্গীয় তাদের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতনের দাবিতে যে অনশন শুরু হয়েছে তা যুক্তিসম্মত। যে বেতন তাদেরকে রাজ্য দেয়, তা লজ্জাজনক। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন কৈলাস।
এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রীরা যে ভাষায় রাজ্যপালকে আক্রমণ করছে, তা কুরুচিকর বলে মন্তব্য করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বিধান নগরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন সাংবিধানিক এই পদটিকে অবমাননা করে অশিক্ষার পরিচয় দিচ্ছে তৃণমূল। কৈলাসের পাশাপাশি পার্শ্ব শিক্ষকদের নিয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নেন বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। তিনি বলেন, পার্শ্ব শিক্ষকদের ৬০ শতাংশ বেতন কেন্দ্রীয় সরকার দেয়। সেই টাকাটাও রাজ্য সরকার দিচ্ছে না।